সুন্দর। সবাই সুন্দরকে পেতে চায়। যিনি বলেন তার সুন্দর না হলেও চলে তিনিও একটা নির্দিষ্ট মাত্রার সৌন্দর্যকে ধারণ করেন। অন্যের তুলনায় হয়তো তার সৌন্দর্যবোধ সামনের কাতারে আসতে পারে না।সুন্দরের জন্যও মানুষ প্রাণপণ লড়াই করে। সেটা হয় এভাবে, নিজের সৌন্দর্যবোধকে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে জীবন যাপনের পাশাপাশি তা লালন করার জন্য মানুষকে একটা নির্দিষ্ট স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হয়।সেই স্বাধীনতার ব্যাপ্তি ব্যাক্তি থেকে সমাজ রাষ্ট্র পর্যন্ত বিস্তৃত। আমরা অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষসমেত আমাদের সাংস্কৃতিক স্বকীয়তার সৌন্দর্যবোধকে লালন করার জন্য সার্বভৌমত্ব অর্জনের লড়াই করেছি, স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি। তার আগে আমাদের সংস্কৃতির প্রাণ, আমাদের ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করেছি। উর্দূকে চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াসকে উড়িয়ে দিয়েছি। কেননা আমাদের সৌন্দর্যবোধের সবগুলো শাখা প্রশাখাকে কিংবা অবলম্বনকে আমরা পরাধীন রাখতে পারি না।আবার বিস্ময়কর ব্যাপারটি হলো, বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষের মতো, প্রতিটি বাঙালিও ব্যাক্তিগত সৌন্দর্যবোধকে গুরুত্ব দেয়। ব্যাক্তির সুন্দরতা কখনো কখনো পরিবার ও সমাজের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই অসন্তোষের আগুন নেভানোর জন্য সুন্দর ভারসাম্য দরকার। ভারসাম্য-সুন্দর মানুষের প্রজ্ঞা থেকে বের হয়। যে-পরিবারে যে-সমাজে ভারসাম্য-সুন্দর প্রবল, সেই পরিবারে সেই সমাজে অসন্তোষ খুব প্রভাব ফেলতে পারে না।তাছাড়া নারী-সুন্দর পুরুষ-সুন্দরের লৈঙ্গিক লড়াই তো আছেই। সেখানেও ভারসাম্য-সুন্দর দিতে পারে ভালোবাসা-সুন্দরের সুনিবিড় ছায়া।
আসুন আমরা সবাই মিলে গাই-এই লভিনু সঙ্গ তব সুন্দর ওহে সুন্দর.......(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
কিংবা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরস্পরকে মুল্যায়ন করতে গিয়ে গেয়ে উঠি-
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সে কি মোর অপরাধ...........(কাজী নজরুল ইসলাম)
No comments:
Post a Comment