Pages

Thursday, March 22, 2012

গুরু বিরোধী গুরু এবং তাঁর প্রশ্নোত্তরঃ ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি (এক)

'আমার ঘুম বিড়ালের ঘুমের মতন।' আবার বলেন, 'আসলে আমি বুঝিই না ঘুমে আছি না, জেগে আছি। ঘুমন্ত অবস্থা আর জেগে থাকা অবস্থার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কোনো স্বপ্ন দেখি না। ব্যায়াম-ট্যায়াম করার দরকার নাই। আমার টাকা পয়সা ধন দৌলত কিছুরই দরকার নাই, সব নিয়া যাও, ভাগো। ডাক্তারি বিদ্যার দরকার নাই। ৮০ বছর হলো কখনো ডাক্তারের আশ্রয় নেই নাই। আমার কোনো অধিকার নাই, কোনো প্রকার দায়িত্ব কর্তব্যও নাই। তুমি আমার কোনো কাজকে অসামাজিক মনে করলে শাস্তি দিতে পারো। আমি হ্যাঁ না কিছুই বলবো না। মানবজাতির কাউকে আমার সাহায্য করার দরকার নেই।'

এমন কথা শুনলে কেউ তাকে জবরদস্ত পাগল বলতেই পারে। কিন্তু ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি পরিস্কার ইংরেজিতে থর থরিয়ে এই কথাগুলো বলেছিলেন বিভিন্ন কথোপকথন ও সাক্ষাতকার দেয়ার সময়। তাঁর ইংরেজি কথা বলার ধরণ আকর্ষণীয়।

পরিচয়ের কিছু ইশারা

কেউ বলেন gentlest human being, কেউ বলেন দুর্দান্ত অভিনেতা, ধোঁকাবাজ, কারো কাছে আধ্যাত্মিক গুরু, কেউ মনে করেন অসাধারণ দার্শনিক, কারো মতে, মানবজাতির সদস্যরা তাঁকে যা-ই মনে করে একেক জন তিনি তা-ই। তবে তাঁর সকল কথোপকথনে তিনি যেভাবে 'the total negation of everything that can be expressed' প্রকাশ করেছেন, তাতে তাঁর মূখ্য পরিচয় নিহিলিস্ট কেউ ধরতে পারে। পন্ডিতদের কেউ কেউ তাঁকে নিহিলিজমের প্রচারক/ব্যাখ্যাতা বিবেচনা করেন। যদিও একসাথে কাছাকাছি বিশ বছর থাকার পরও সুইস নারী ভেলেন্টাইন জানতে চেয়েছিলেন, 'তুমি আসলে কী ইউ জি?' তিনি গুরু বিরোধি হিসাবে ভূমিকা রাখলেও তাঁর জীবদ্দশাতেই সারা দুনিয়ায় বিভিন্ন জাতির শিষ্য জমেছিলো। তিনি মানুষকে দুরে রাখবার কথা প্রচার পেলেও ভিডিওগুলোতে তাঁর 'স্টাইল অব এ্যাক্সপ্রেশন' জানায় আত্ম প্রচারের প্রতি তাঁর সমর্থন ছিলো। তিনি কীভাবে রান্না করতেন তাও ভিডিও করতে দেন। (হয়তো শিষ্যদের অনুরোধে, অনুরোধে সম্মতি দিলে তো নিজের অবস্থান নড়ে যায়।) তিনি কথোপকথনে কারো ব্যাপারে আগ্রহ না-দেখালেও কার্যত তাঁর প্রবণতা সম্পর্কে David Quinn বলেন 'Look deeply into the man and you will see all the con tricks of a typical salesman. UG doesn't really want to repel people. He only wants to be seen to be doing so.'

তাঁর পুরো নাম উপ্পালুরি গোপাল কৃষ্ণমূর্তি জন্ম গ্রহন ১৯১৮ সালের ৯ জুলাই দক্ষিণ ভারতের মছলিপট্টনামে (অন্ধ্র প্রদেশ)। মৃত্যু ২০০৭ সালের ২২ মার্চ, ইতালিতে। তাঁর ভক্ত Professor O S Reddy মনে করেন চার ইঞ্চি লম্বা দুই কান বিশিষ্ট ইউ জি অসাধারণ এক মানুষ। তবে কী কারণে তিনি তাঁর ঘন লম্বা চুল দ্বারা কান দুটি ঢেকে রাখতেন কেউ কেউ জানে না। দেখা গেছে বিশেষ মেধা সম্পন্ন মানুষদের নানা প্রকার বিশেষত্ব থাকে তাদের শরীরের কোথাও না কোথাও। ইউ জি ঘুমাতেন কোবরা সাপের মতো গোল হয়ে। তাঁর আচরণে আত্মগরিমা এবং বিনয় দুইই প্রকাশ পায় বিভিন্ন সময়ে। উত্তরাধুনিকতার বিশেষ অংশের ধারণাবন্দী ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি মজার মানুষ বটে। তাঁর অনেক কথোপকথনে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবহার করেছেন কোনো ব্যক্তি গোষ্ঠী জাতির উপর শক্ত গালি। যেমন, বাস্টার্ড, স্কাউন্ড্রেল, শীট, ননসেন্স ইত্যাদি।

প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্নোত্তরের প্র্রশ্ন

ক. 'আমি' না-পাওয়ার বা না-বোঝার এবং 'এ্যানলাইটেনমেন্ট' এর কূল-কিনারা না-পাওয়ার ক্ষোভ সব সময় তাঁর মধ্যে সক্রিয় ছিলো কেন? অথবা ইচ্ছে করেই কী 'পারফেক্ট মানুষ' হতে চান নি?

খ. গোস্বামাখা আবোল-তাবোল কিছু কথা বাদ দিলে, তাঁকে পূর্বজ সাধকদের কিছু চিন্তার ভালো ব্যাখ্যাতা বলা যাবে না কেন?

গ. তিনি কি কখনো কখনো স্বতঃস্ফুর্ত ভাবকে ইচ্ছাকৃত লুকিয়ে রেখেছিলেন?

ঘ. বড় মাপের দ্রষ্টাদের মধ্যে যে-তুচ্ছতাবোধ বা আত্ম ক্ষুদ্রতা শনাক্তকরণ পরিলক্ষিত হয়, তা কি ছিলো ইউ জি কৃষ্ণমূর্তির কথাবার্তায়? কথা বলার সময় তাঁর এমন ভাব কেন যে তিনিই সত্য পেয়েছেন মানব জাতির ইতিহাসে? এমন করণে ভন্ডামির সাথে সম্পর্ক আছে কি না?

ঙ. বিভিন্ন সাক্ষাতকারে গড পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বার বার বলছিলেন 'নাথিং ইজ দেয়ার'। দেখা গেল, এই বিষয়ক তাঁর কথাগুলো মহাত্মা ফরিদ উদ্দিন আত্তার'র 'মনত্বেক আল তায়ের'র সারমর্ম, এবং মহাত্মা ইবনে আরাবী, রুমি, সাদী, মেইস্টার এ্যাখার্ট প্রমুখের কিছু চিন্তার সাথে মিলে যায় কেন? (যদিও ইউ জি ওইসব সকল মহাত্মাকে গালি দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।)

চ. না-পাইলে, না-বুঝিলে অস্বীকার/প্রত্যাখ্যান করতে হবে কী? আঙুর ফল টক বললেই কী টক হয়ে যায়?

ছ. সুইজারল্যান্ডে থাকাকালেই কি ইউ জি নিজের অজান্তে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্রীড়নক হয়েছিলেন? (তাঁর উপর এ্যাসপিওনেজ তত্পরতার অভিযোগগুলো অহেতুক ধরলেও)

জ. তাঁর সমালোচক David Quinn এর মতে- 'And just like all these other gurus, his role-playing only serves to strengthen the delusions of his listeners. His words might be full of fire and brimstone, but deep down everyone knows he is just a harmless puppy'। সত্যিই কী?

ঝ. David Quinn আরো বলেন, 'It is not an expression of his wisdom, but of his ego. At bottom, UG is a coward, and his cowardice literally destroys everything he says. Instead of promoting wisdom, UG is promoting delusions and lies.' সর্বনাশ কী?

বুঝবার কিছু নেই বলেন আবার তিনি কিছু বোঝাতে চান

ভালো মন্দ বিচার এখানে নয়। যুক্তির ওজনের উপর আলোকপাত করা যায় অ-পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান থেকে। কেউ কেউ তাঁকে স্পিরিচ্যুয়েল শিক্ষক বলেন। তিনি নিজে বলেছিলেন- 'all spiritual discourses as ‘poppycock’ and thrashed the spiritual masters as ‘misguided fools’''। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি নিজেকে একজন অভূতপূর্ব মিস্টিক বুঝানোর জন্যই কি তাঁর উনপঞ্চাশ বছর বয়সের 'ক্যালামিটি'কে খুব গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করতেন? সত্য খুঁজে পাওয়ার সাথে অমন ক্যালামিটির কি সম্পর্ক থাকতে পারে?

পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন- "Tell them that there is nothing to understand." কথাটার নির্গলিতার্থ মানুষের বুঝাবুঝিতে স্থুলতা/অপরিপক্কতা আছে। বলা যায়। একেবারেই বুঝাবুঝি নাই কী? তাহলে তিনি কেন সিদ্ধান্তসূচক/বুঝাবুঝির কথা বলেছেন। কনন্ট্রাডিকশন। কাউকে বা কোনো গোষ্ঠীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে, ওদের উপর গালি ছুঁড়ে বলছিলেন নিজের সিদ্ধান্তের কথা। 'আসলে এটা হলো এই আর ওটা হলো সেই'- এইভাবে প্রত্যয় জানালে তো সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। বুঝাবুঝির কিছু না-থাকলে তিনি সিদ্ধান্তসমুহ দিলেন কেন?

তিনি যদিও নিজেকে গুরু বিরোধি জাহির করেছেন। কিন্তু David Quinn বলছিলেন, 'having guru-like hair, being rude to people, abusing his listeners, and treating everyone as if they were infinitely below him. Whenever he opens his mouth he seems to be addressing empty space. In other words, he directs his words into a vacuum, rather than attending closely to the questioner before him. Because he takes little account of the wisdom or character of the person who talks to him, his teachings lack discrimination. The person could well be a genuine human being asking a perfectly valid question, but more often than not UG just abuses him.'

তাঁর কথাবার্তার ধরণ এমন যে, তিনিই শুধু সত্য আবিস্কার করেছেন, বাকী সব সাধক-গুরু-গবেষক কিছু না। এই প্রবণতা কি পারসনালিটি কাল্টকে উস্কে দেয় না? দেখা গেছে, নিজের দিকে আকৃষ্ট করার কৌশল হিসাবে এমন প্রত্যাখ্যান বেশ কার্যকর।

তাঁর চিন্তাও প্রত্যাখ্যান হতে পারে

জীবনের অধিকাংশ বছরগুলো পশ্চিমে, ষাট অধিক সুইজারল্যান্ডে ছিলেন। আমেরিকাতে ছিলেন কিছুকাল। অনেক দেশ ঘুরেছেন। এবং মৃত্যু বরণ করেন ইতালিতে ২০০৭ সালে। বুঝবার কথা বলেছেন, দুনিয়ার বহু কিছিমের মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে বুঝেছেন, হিউম্যান নেচার এ্যাগজেক্টলি দি সেইম।

তিনি এমন এক চিন্তাবিদ যিনি মনে করেন 'চিন্তাই শত্রু'। চিন্তার ভেতরে শুধু কি শত্রুতাই বিদ্যমান? চিন্তার ভেতরে বাইনারি অপোজিশান শত্রু ও মিত্র থাকতে কি পারে না? আবার চিন্তা বলতে যদি তিনি দুনিয়াদারির চিন্তাকে বুঝে থাকেন, তাহলে চিন্তার ভেতরে গোলমাল/ঝামেলা/যন্ত্রণা তো আছেই। আর ব্যাপক অর্থে চিন্তা তো অধরা আধেয় সাপেক্ষে। চিন্তা করা মানে রিফ্লেক্ট করা। চিন্তা দ্বারা অধিক চিন্তার গতি পাওয়া। আমাদের চিন্তা গভীরতার দিকে যাওয়া মানে বিষয়ের গভীর গ্রন্থিত অর্থ খোঁজা। কিন্তু 'গভীর' এর শেষ কোথায়, আমরা জানি না। গভীরতার দিক নির্ণয়ের ব্যাপারেও মানুষ অন্ধকারে। যে-কোনো চিন্তা কি বের করে দিতে পারে না শত্রুতা ও বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ? নির্দিষ্ট চিন্তাপুঞ্জ খুলেমেলে দেখলেই আমরা ধরতে পারি তার প্রকারভেদ। চিন্তার উপর আমাদের চিন্তা চলতে থাকে। চিন্তার ব্যাপারে ইউ জি'র ইনটারপ্রিটেশন শুধু তাঁর এবং তাও তো তাঁর রিজেকশন ফর্মুলা মোতাবেক প্রত্যাখ্যান হতে পারে।

মানুষ তার আত্মাকে জানতে চায় কেন?

ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি জবাব দেন- 'UG rejected the notion of soul or atman and declared that our search for permanence was the cause of our suffering'। সত্যিই কি ভোগান্তির কারণেই মানুষ তার আত্মা- তার অরিজিন জানতে চায়? অনুসন্ধিত্সা কি আসলেই শুধু কষ্টের কারণেই? গৌতম বুদ্ধের চিন্তার প্রতিফলন কৃষ্ণমূর্তির জবাবে। 'দুর্ভোগ' মানে কি 'অ-সুখ'! দুঃখও কি মানুষ উপভোগ করে না? করে বলেই তো 'সেডেস্ট থট' মেশানো গানটি হয়ে যায় 'সুইটেস্ট সঙ' (জন কীটস)। ফলে দেখা যায়, দুঃখবোধও সৃজনশীল একটি অবস্থা।

কৃষ্ণমূর্তি মহোদয়ের কাছ থেকে, মানে তাঁর কথাবার্তার ভেতরে শিক্ষনীয় কিছু আছে কী?

তিনি নিজেই জবাব দিয়েছেন- 'What I am saying is outside the field of teachability; it is simply a description of the way I am functioning.' বলেছেন, 'I have no message for mankind.' ধর্ম বিরোধী কথা বলেছেন নানা প্রকারে আবার প্রার্থনা সম্পর্কে ইউ জি বলেছেন 'It is strengthening the self'।

'ভালোবাসা' একটি বাজে শব্দ

খুব রেগেমেগে বলেছেন 'ভালোবাসা' একটি বাজে শব্দ। ভালোবাসা মানে যৌন তৃষ্ণা'। এখানে প্রথমত 'ভালোবাসা'কে বাজে শব্দ বলবার মধ্য দিয়ে ইউ জি নিজেকে রোদ বৃষ্টির মতো অপক্ষপাতদুষ্ট রাখতে পারেন নি। কোন কিছুর উপর 'বাজে' রিমার্ক রাখার অর্থ বক্তা নিজেকে স্বকল্পিত 'ভালো'র পক্ষে রেখেছেন। আর ভালোবাসা মানেই যৌন তৃষ্ণা তো অবশ্যই না। ভালোবাসার বহু স্পেকট্রাম কোথায় যাবে? তিনি নিজে কামহীন ভালোবাসার আশ্রয়ে বিপদমুক্ত হয়েছিলেন। লন্ডনে হাইড পার্কে পুলিশের সাথে ঝগড়া করে লন্ডনস্থ রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামীজীর ভালোবাসার দৌলতে তিনি আশ্রয় পান। সুইজারল্যান্ডে একেবারে প্রথম দিকে হোটেলের ভাড়া দিতে অপারগ হলে ভেলেনটাইন নামের নারীটির ভালোবাসা তাঁকে সুইজারল্যান্ডে থাকবার ব্যবস্থা করে দেয়।

দারুন ব্যাপার তো!

তিনি তাঁর কথাকে interpret, misinterpret, distort করবারও অধিকার মানুষকে দিয়ে গেছেন। তাঁকে কেউ কেউ ‘enlightened man’ বলতো, এই বলাটাকে তিনি ঘৃণা করতেন। তাঁর মতে 'এ্যানলাইটেনমেন্ট' বলে কিছু নেই। সমালোচকের মতে, তিনি নিজেকে 'এ্যানলাইটেনড' জাহির করবার কৌশল হিসাবে অমন বলতেন। কারণ এমন বললে মানুষ তাঁর ভক্ত হবে বেশি।

তাঁর মতে খোদাকে মানুষ ভয়ের কারণে আবিস্কার করেছে। তাঁর সাফ কথা- 'There is no such thing as objective truth at all. There is nothing which exists outside or independent of our minds.' এই বিবৃতির পক্ষে নিশ্চিত হলেন কোন সত্যের ভিত্তিতে? এই বিবৃতিতে আংশিক প্যানথীইজমের বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যেনো!

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, 'I was actually and factually looking for a man like me who is here now.' ভালো কথা। 'পারফেক্ট মানুষ' হতে হলে নিজকে খোঁজতে হয়। এই খোঁজ নেবার কথা সক্রেটিসও বলেছিলেন (নো দাইসেলফ), ইসলামের নবীও বলেছিলেন- মান আরাফা নাফসাহ ফাকাদ আরাফা রাব্বাহ।

কিন্তু আবার তিনি যখন ঘোষণা দিয়ে বসেন- ''There is no way I can tell myself, "Who are you?, What are you? What is there?" তখন তাঁর কাছ থেকে সুস্পষ্ট রিজনিং পেতে চায় মানবজাতি। তিনি কোনো রিজনিং ছাড়াই no way টাইপের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বহু সাক্ষাতকারে। এইভাবে no way বলে থামিয়ে দেয়ার প্রবণতার সাথে মিলে যায়, পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং কর্তৃক রাজনৈতিক সারপ্রাইজ প্রদান, যেমন 'নাথিং ক্যান মোভ ফাস্টার দ্যান লাইট স্পিড'। অথচ এখন মানবজাতি জেনেছে নিউট্রিনো আলোর গতির চাইতে বেশি গতিতে চলে।

মজার বিষয় হলো, মোক্ষ প্রাপ্তির তরিকা থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে এনেছিলেন এই জন্য যে সাধক বলেছিলেন 'রহস্য ভেদ করতে পারবে না'। ইউ জি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন- 'হোয়াট দি হেল উই ডু হেয়ার?' কিন্তু এই তিনিই অবশেষে বললেন- 'There is no way you can experience the Reality of anything.' বললেন- 'actually there is no way the physical eye can look at anything.' একটা সীমা যে আছে তা বুঝতে পারলেন শেষে! এবং আধ্যাত্মিক সাধকদের মতো বললেন- 'So, what I am stressing all the time is how the body, freed from this strangled hold of culture, functions. That's all that I am describing.'

সমস্যার সমাধান পাওয়া কী আসল সমাধান?

কৃষ্ণমূর্তি বলেন- সমস্যা তো জিন্দা থাকে ভুল সমাধান মানুষ বের করে বলে। 'The real problem is the solution. Your problems continue because of the false solutions you have invented.'

তিনিও কি প্রচুর ভুল সমাধান বের করে দিয়েছিলেন মানবজাতির উদ্দেশে?

(অসমাপ্ত)

তথ্য জরিয়া

http://www.ugkrishnamurti.net/

http://www.ugkrishnamurti.org/ug/ug_video/index.html

http://ug-k.blogspot.com/

http://www.takuin.com/the-death-of-ug-krishnamurti/

http://tkpi.org/content/teachings-ug-krishnamurti

http://www.inner-quest.org/UG.htm

http://the-natural-state.blogspot.com/

http://ugkrishnamurti.net/ugkrishnamurti-net/SWAN_SONG.htm

http://www.well.com/user/jct/enemy7.htm

http://www.travelswithug.com/

1 comment:

Anonymous said...

" আওয়ার সুইটেস্ট সংগস " কীটসের লেখা নয়, শেলীর
" ওড টু আ স্কাইলার্ক" থেকে নেওয়া। আপনার লেখাটি
পক্ষপাতদুষ্ট এবং অগভীর। কুইন এর মত আপনিও
শুধুমাত্র ব্যাক্তিবিদ্বেষের কারনে সমালোচনা করতে
বসেছেন, কিন্তু আপনার লেখায় আছে
প্রচুর ভাবের অসংগতি এবং
পরস্পর বিরোধী ভাববৈশিষ্ট।