Pages

Saturday, October 27, 2007

তোমার বুকের মধ্যদেশে ঘুমিয়েছিলাম শিশুর মতো

তোমার বুকের
মধ্যদেশে
ঘুমিয়েছিলাম
শিশুর মতন
মুখ লুকিয়ে
সাগর পারের
আকাশ তলে.....
সপ্তঋষি
তাকিয়েছিলো
অবাক ছিলো
তোমার ছায়া
আমার মায়া
খেলতেছিলো
শিশুর মতোন
আপন মনে
আমি বলি-
লুকোচুরি
খেলতে জানো?
বললে তুমি-
জানি জানি
অনেক জানি
ভড়ং টড়ং
নরম গরম
কানামাছি
অনেক জানি....
আমি বলি-
ভড়ং খেলা
কেমনে খেলে
শেখাও যদি
খেলতে পারি
বললে তুমি-
এই বাড়িটা
শিল্প বাড়ি
আমার তোমার
মনের বাড়ি
ভড়ং খেলা
এইখানেতে
নিষেধ-মানা
আমি বলি-
থাকুক তবে
ভড়ং খেলা
নরম গরম
কানামাছি
আজকে শুধু
ঘুরে ঘুরে
দেখবো বাড়ি...
ঘুরতে ঘুরতে
দেখতে দেখতে
শিল্প বাড়ির
মোহে পাগল
হলাম আমি যেই
ডাকলে তুমি 'এই
কুম্ভকর্ণ ওঠো এখন'
একটু রেগে
একটু জেগে
আমি আবার
ঘুমের দেশে
তোমার বুকের
মধ্যদেশে
ফের ঘুমাই ফের ঘুমাই..
.তোমার আমার
মনের বাড়ি
অতুল অতুল
ফুলেল ফুলেল
বকুল বকুল
পাগল আমি
পাগল তুমি
লোকে বলে
বলুক বলুক......
একটু পরে
হাতের কাছের
সিডির বাটন
চেপে দিয়ে
বললে শোন-
'মেরা পিয়া গায়া রেঙ্গুন
কিয়া হ্যায় উহাঁসে টেলিফোন
তোমহারি ইয়াদ ছাতাতি হ্যায়
জিয়া মে আগ্ লাগাতি হ্যায়'.......

তোমাকে খুঁজে পেতে কতদূর যেতে পারি?-২

এখানে আগের পর্ব

ঘ.
বিশ্বের প্রায় সকল সভ্য জাতির শিক্ষিত মানুষেরা মনে হয় স্টিফেন হকিংয়ের ' এ্যা ব্রিফ হিস্টরী অব টাইম' বইটি পড়েছেন অথবা বইটির বক্তব্য সম্পর্কে অবহিত। বইটি বেস্ট সেলার হয়েছিলো। বহু ভাষায় অনূবাদ হয়েছে। অনেক দেশের আকাশে বাতাসে একটা গুজবও ছড়িয়েছিলো এই মর্মে যে, নাস্তিকতার পক্ষে বইটি একটি মজবুত দলিল। বইটিতে না কি বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন, আল্লাহ-খোদা নাই, আল্লাহ-খোদার দরকার নাই।আমি 'ব্রিফ হিস্টরী'সহ হকিংয়ের 'ব্ল্যাক হোল এ্যান্ড বেবী ইউনিভার্সেস' এবং বিভিন্ন গ্রন্থে থাকা বিক্ষিপ্ত প্রবন্ধগুলোও পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম ২০০০ সালে। এ বিষয়ে বিভিন্ন এ্যানসাইক্লোপেডিয়ার টীকাগুলোও পড়েছিলাম এবং 'ব্রিফ হিস্টরী' সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণা ভাঙ্গার সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাতকার, যা বিবিসি নিয়েছিলো, সেটাও পড়েছিলাম। কোথাও 'নাস্তিকতার পক্ষে দলিল' পেলাম না।বিস্ময়কর হলো, ইংরেজীভাষী বিবিসি'র প্রতিবেদক এবং 'স্টিফেন হকিং/এ্যা লাইফ ইন সায়েন্স' গ্রন্থের লেখকদ্বয়ও (মাইকেল হোয়াট ও জন গ্রিবিন) তাঁকে নাস্তিক মনে করেছিলেন। সবাইকে বোকা বানিয়ে বিবিসি'র সাক্ষাতকারে জানালেন আসল কথা হকিং।

'Stephen: All that my work has shown is that you don't have to say the way the universe began was the parsonnal whim of God.'(আমার ওইসব কাজ এটাই দেখিয়েছে, তুমি এরকম বলতে পার না যে, খোদার উদ্দেশ্যহীন খেয়ালের ফলে মহাবিশ্বের সূত্রপাত হয়েছে।) ১৯৯২ সালের ক্রিসমাস দিনে বিবিসি সম্প্রচার করেছিলো সাক্ষাতকারটি। হকিং এও জানালেন- 'It says nothing about whether or not God exists- just that he is not arbitrary.'হকিং আসলে বইটিতে কিছু হাইপথেটিক্যাল কথা বলেছিলেন বাক্যের আগে পরে মাঝখানে If, may, এবং shall/will এর পরিবর্তে would ব্যবহার করে।তিনি স্বীকারও করেছেন, বইটিতে অতি কথনের (ফ্লিপেন্ট টৌন) আশ্রয় নিয়েছিলেন। 'ব্রিফ হিস্টরী' প্রকাশের প্রায় এক যুগ পরে তিনি সানডে টেলিগ্রাফকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, I am afraid that however clever we may become we will never be able to travel faster than light. If we could travel faster than light, we could go back in time.'ঙ.ক্লাসিক ফিজিক্সের প্রতি অন্যান্য বিজ্ঞান-গবেষণা, শিল্প সাহিত্য দর্শন চর্চাকারীদের নজর রাখতেই হয়। উঁচুমানের পদার্থ বিজ্ঞানীদের ধ্যান এখন অদ্বিতীয়ত্বের (singularity) ধারণায় সমুজ্জল। আইনস্টইনের 'চতুর্থমাত্রা' শক্তি এক মাত্রা থেকে এলো কি না, তার গাণিতিক প্রমান পাওয়ার অপেক্ষায় মানবজাতি। আইনস্টাইন তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যায় করেছেন গ্রাভিটি, ইলেক্ট্রোমেগনেটিজম, স্ট্রং ফোর্স, উইক ফোর্স- এই চার শক্তি একই শক্তির বিভিন্ন রূপ, তা দেখার জন্য। কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টা অসম্পন্ন থেকে গেছে। তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর অসম্পন্ন ইকুয়েশনের সমাধান বের করার জন্য স্টিফেন হকিং সুকঠিন প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন তাঁর বন্ধু রজার পেনরোজকে সাথে নিয়ে। স্টিফেনকে বলা হতো পজেটিভিস্ট আর পেনরোজকে প্লাটুনিস্ট। তাঁদের 'বিড়াল মৃত+বিড়াল জীবিত' বিতর্ক খুব আলোচিত পদার্থবিদদের কাছে।হকিং ও পেনরোজ মিলে আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটির সূত্র ধরে যে তত্বটি প্রমান করেছেন, সেই তত্বটি তাঁদেরকে মুশকিলে ফেলে দিয়েছে। কারণ এর ফলে ফিল্ড ইকুয়েশন নির্ভুলভাবে করা যাচ্ছে না। এতে দেখা যাচ্ছে ল অব ফিজিক্স ভেঙ্গে পড়ছে। তাঁদের তত্ব দেখিয়েছে, মহাবিশ্বের অতীতে এক অদ্বিতীয়ত্বে ছিলো। আর আইনস্টাইনের 'জেনারেল রিলেটিভিটি' এই ভবিষ্যত ধারণাই দিচ্ছে যে এর দ্বারা মহাবিশ্বের ভবিষ্যত ধারণা পাওয়া যাবে না। এটি হলো সাধারণ আপেক্ষিক তত্বের দুর্বলতা।বিজ্ঞানীদের টার্গেট এখন এমন একটি 'পূর্ণাঙ্গ তত্ব' যা সকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে। (চলবে)

আপনাকে আগুনে জ্বলতে হবে, জ্বালাতেও হবে!


অ.
আপনাকে আগুনে জ্বালানো হবে। পুড়ে মরতে রাজি আছেন?
আপনার জবাবঃ না, আমি জ্বলতে চাই না। কিছুতেই জ্বলতে চাই না। অপরাধী হই যদি অন্য শাস্তি দেন, আগুনে পোড়াবেন না।

আগুনে পুড়ে মরা! লোমহর্ষক!! ভয়ংকর!!একটি মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে মারার দৃশ্য কোন সুশীল মানুষ দেখতে চাইবেন না এইটাই স্বাভাবিক, লোকে বলে।অথচ সত্য হলো, আগুন আবিস্কারের পর থেকে মহাপ্রলয় পর্যন্ত অগ্নিদহন চলছে, চলবে।আগুন ছাড়া সভ্যতা অচল আন্ধার উত্তাপহীন হিমশীতল।আগুন জ্বলছে সর্বত্র। বহ্নুত্সবে মেতে আছে মানবজাতি।ঘরে আগুন বাইরে আগুন; নগর বন্দর গ্রাম পথ ঘাট; এ্যাকচুয়েল জগত ভার্চুয়াল জগত মনোজগত সবখানে অগ্নিদহন চলছে। উনুনের আগুন.. বুননের আগুন.. গ্যাসের আগুন.. বাঁশের আগুন.. কাঠের আগুন.. বিজলীর আগুন..কয়লার আগুন..রাজনীতির আগুন..দেহের আগুন.. মনের আগুন.. ইত্যাকার অজস্র আগুন ছড়িয়ে আছে সবদিকে। আগুনে জ্বলার গানও আমাদের ভালো লাগে-'প্রেমের আগুনে প্রেমের আগুনে প্রেমের আগুনে জ্বলে গেলাম সজনী গোপীরিতি আজো শিখলাম না'কিংবা'সখী গো অন্তর জ্বালাইলায় পীরিতে'অথবা'আগুন লাগাইয়া দিলো কোণে হাছন রাজার মনে'নয়তো'আমার কি সুখে দিন রজনী কেউ জানে নাকুহু স্বরে মনের আগুন আর জ্বালাইও না'প্রেমের আগুনে জ্বলার মধ্যে নাকি বিরহানন্দ আছে। বিরহের মাঝে আনন্দ! ওরে বাবা! ভাবজগতের কথাবার্তা আপাতত থাক্। অগ্নিদহনের অন্য প্রসঙ্গগুলো দেখি।

আ.
বলা হয় আগুনের ব্যবহার শেখার মধ্য দিয়ে সভ্যতার শুরু। অথচ দোজখের কিংবা নরকের আগুনে জ্বলার সুসংবাদ দিলেই চেহারাখানা মলিন হয়ে যায় অগণন মানব মানবীর।রাগ করে কাউকে যদি বলেন, 'যা ব্যাটা জাহান্নামে যা।' ওই ব্যাটা শক্তি সামর্থে আপনার সমপর্যায়ের হলে দ্বিগুণ ভলিউমে ত্রিগুণ জ্বলে ওঠে জবাব দেবে- 'যা যা জাহান্নাম তোর লাইগা বানানো হইসে।'জাহান্নামের আগুন তো পরে আসবে। জগতের বহুবিধ আগুনে জ্বলে-পুড়ে অবস্থা লেজেগোবরে; অধিকাংশ মানবগোষ্ঠীর নাভিশ্বাস উঠছে। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখা মানুষের মনের অঙ্গনে। কেউ জ্বালায় কেউ জ্বলে। কেউ আগুন লাগায়, কেউ পাল্টা প্রতিশোধ নিতে লাগায়।আপনি আগুনে জ্বলতে চান না কিন্তু আক্রান্ত হলে নিজেও অন্যকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেন।'আগুন নিয়ে খেলা! দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!' ওটা একটা জ্বলন্ত অগ্নিগিরি। বিস্ফোরিত হয়ে লাভা উদগীরণ শুরু হলে চৌদ্দগোষ্ঠী পুইড়া শেষ।'বাস্তবের অগ্নিকান্ডে মানুষের সর্বনাশ হয়। মানুষের মন-মস্তিস্কের আগুন কি কম ভয়ংকর? মানুষের রোষাণলে জনপদ ধ্বংস হয়। তীব্র অসন্তোষের দাবানল যদি নেভানো না-হয়, দেশ জাতির অস্তিত্ব নিদারুন সংকটে পতিত হতে বাধ্য।ব্যাক্তিমানুষ জাতিমানুষ হিংসার আগুনেও জ্বলে। কোন কারণ ছাড়া-অন্যায়ভাবে অন্য ব্যাক্তিকে অন্য জাতিকে হিংসা-বিদ্বেষের আগুনে জ্বালানো হয়। সম্প্রদায়ের কুশিক্ষা সাম্প্রদায়িক আগুন লাগায়।জগতমন্ডলের ইতিহাসটাই হলো আগুনে পোড়ার ইতিহাস। জ্বলেছে, জ্বালিয়েছে। জ্বালিয়েছে, জ্বলেছে।বর্তমান আর ভবিষ্যতটাও একই রকম। জ্বলন-পোড়ন থেকে মুক্তি কি নাই মানব জাতির?শত সহস্র অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকা সত্বেও মানুষের জ্বলে-পুড়ে শেষ হওয়ার ইতি নেই!

ই.
আগুন সৃষ্টিশীল। আগুন ধ্বংসশীল। আগুন মায়ার। আগুন ছায়ার। আগুন ভালোবাসার। আগুনে জীবন। আগুনে মরণ। আগুনে স্মরণ। আগুনে শরণ। বড় বিস্ময়কর এই আগুন!

Friday, October 19, 2007

তোমার অন্তর্গত সুন্দর ভালোবাসার লাগি আমি শুণ্য হবো

Pain makes you grow.........
even though its difficult at the time
OLIVIA NEWTON-JOHN



অন্তিম কথা শুরুতেঃ

অনুভবের অতলে সন্তরণ করো যদি আমাকে খুঁজে পাবার সম্ভাবনা আছে...সম্পর্কের স্থিতি তুমি যেমতে চাহিবে সেমতই অগ্রগণ্য...সকল প্রকার ভালোবাসায় আমার বিশ্বাসকে গহনে নিয়ে যেও... আমি অস্তিত্বের শুণ্যতা কোলে তুলে নেব... তোমার অন্তর্গত সুন্দর ভালোবাসার লাগি আমি শুণ্য হবো, শুণ্য... শৈশবে আমি নিম শিরীষের ডালে কিংবা বনঝোপের অন্তরে ক্যামোফ্লাজ ঢাকা হতাম পাখিদের সাথে একাত্ম হবো বলে..দোয়েল শ্যামা ঘুঘু বুলবুল বুঝে নিয়েছিলো আমার নিয়ত ভালো-ভালোবাসা...কেননা বনের পাখিদের খুব কাছে পেয়েও ধরে ফেলার চেষ্টায় পাগল হতাম না..

শুরু এখান থেকেঃ
তুমি কে গো দূরের মায়াবীনি...আমাকে ভিজিয়ে রাখো সারাক্ষণ- সকাল দুপুর সন্ধ্যা...জীবন ভ্রমণ পথে আমরা কি প্রথাসিদ্ধ শুদ্ধ হতে চাই? বহু নিকষ আঁধার রাত পেরিয়েছি একা...বহু সন্ধ্যা ছিলো দীপহীন মলিন...এখন সন্ধ্যাবাতি হাতে তুমি হাসো আর বর্ষণ করো অকৃত্রিম প্রেমের বৃষ্টি...
ওগো মায়ার নারী...আমি তো ঘরের মায়া দূরে ঠেলে দেয়া এক পথিকপ্রবর, যাযাবর হতে চলেছিলাম...তুমি শোনালে ঘরের মায়ার আবাহন...আমি থমকে দাঁড়িয়েছি ঠায়...কতদূর যেতে হবে পথে পথে সুদূরের দিকে? তোমার কি ঘরের মায়া আছে? পৃথিবীটাও প্রতি সেকেন্ডে তিরিশ কিলোমিটার বেগে ভ্রাম্যমান দিনরাত...আমাকে জানিয়ে দিও প্রণয়ের ঘরে বসত করা আমার ভালো হবে কি না....


দূরের মোহমায়ামণি গো.....তুমি ভার্চুয়াল নও এ্যাকচুয়াল, বিশুদ্ধ এ্যাকচুয়াল ভালোবাসার কথা বললেই আমি বেদনা ভেজা হই, উজ্জীবিত হই....চুপচাপ দেখি আমাদের শরত প্রকৃতি ডাক দেয়.....এসো হে আগুন ঝরা ফাগুন, এসো হে পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়ার দিন....

তোমাকে খুঁজে পেতে কতদূর যেতে পারি?-১

ক.
বিজ্ঞানীরা নানা প্রকার পরীক্ষা/নিরীক্ষার মাধ্যমে জগতমন্ডলের নিয়ম/সূত্রের বাস্তবতা দেখিয়েছেন। (ল অব কজ এ্যান্ড ইফেক্ট)আবিস্কৃত সূত্রের দূর্বলতাও চিহ্নিত হয়ে আসছে। আংকিক বিশ্লেষনের মাধ্যমে উন্নততর সূত্রও আবিস্কৃত হচ্ছে। আবার অধিবিদ্যার অনেক প্রকার প্রশ্নের জবাবও দিতে পারছেন না বস্তু পন্ডিত-বিজ্ঞানীরা। যেমনঃ চুম্বক লোহাকে আকর্ষণ করে কেন? এর কোন সদুত্তর নেই হাতে কলমে প্রমানের জগতে। শুধু বলা হলো, 'পারহেপস ইট হেজ বিন অরডার্ড টু ডু সো বাই ইটস ক্রিয়েটর।' দি মিস্ট্রিয়াস ইউনিভার্স-স্যার জেমস জিন)

খ.

বিজ্ঞানীরা প্রাণকে জানার জন্য গবেষণা চালালেন এই আশায় যে, জীবন মৃত্যুর রহস্য এতে জানা হয়ে যাবে। কিন্তু ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে খুঁজতে খুঁজতে প্রোটোপ্লাজমের কাছে গিয়ে ক্লান্ত পথিক বিজ্ঞানী। আর আগে যাওয়া সম্ভব না। প্রোটোপ্লাজমকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিশ্লেষণ করে লক্ষ্যে পৌঁছা যাচ্ছে না। প্রোটোপ্লাজম সেল ভাঙ্গলে ওখানে আর প্রাণ থাকছে না। 'দি মুমেন্ট উই ব্রেক ইট লাইফ ভেনিশেস।...........সায়েন্স উইল অলওয়েজ রিমেইন ইন দ্যা ডার্ক রিগার্ডিং দ্য রিয়েলিটি অব লাইফ।'বলা হলো, মানুষের অস্তিত্ব বিষয়ে মানুষের অজ্ঞতা সুগভীর। আর রাসায়নিক বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে অজ্ঞতাটুকু(কেমিক্যাল এনালাইসিস) অধিক অধিক গভীরতর। (ম্যান, দি আননৌন-ডঃ এ্যালেক্সিস ক্যারল)। আমরা জানি না আমাদের হাড্ডি মাংস রক্ত প্রত্যঙ্গের সাথে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পর্ক কি। আমরা জানি না নীতিজ্ঞান, সুবিচার কিংবা দুঃসাহসের একটা ঈস্পিত মাত্রা কীভাবে অর্জন সম্ভব। বুদ্ধিবৃত্তিক, নৈতিক, অলৌকিক কার্যাবলীর আপেক্ষিক সম্পর্ক কী? আমরা জানি না।

গ.

কল্পবিজ্ঞানের স্পেসশীপে মানুষ অতীতে যেতে পারে। ভবিষ্যতেও ভ্রমণ করে। কিন্তু বাস্তবে? অসম্ভব জানালেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মেধাবী মানুষটি। নাম তাঁর স্টিফেন হকিং। তিনিই আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্বের একটি দুর্বলতা চিহ্নিত করেছেন বলে জানা যায়। তিনি বললেন, অতীতে বা ভবিষ্যতে যেতে হলে আলোর চেয়ে অধিক গতি সম্পন্ন বাহন দরকার। তিনি অংক করে জানালেন সেই গতি সম্ভব না। আলোর গতিটাই সর্বোচ্চ।কিছু সীমা কিছু সীমাবদ্ধতা মেনে নিতেই হয়? সসীম কিরূপে অসীমের খেলা বুঝে! বস্তুর জ্ঞান যেখানে গিয়ে থামে সেখান থেকে শুরু হয় অধিবিদ্যা? ভালোবাসার অনুভবের কী রাসায়নিক ব্যাখ্যা দিবে হে বস্তুবিজ্ঞানী বন্ধু! প্রিয়তম কিংবা প্রিয়তমার নিকটবর্তী হওয়ার আকূলতাটুকু কীভাবে বিশ্লেষণ করা যায়? দেহের জন্য দেহের আকর্ষণের ভেতরে যে অস্ফুট-ভাষাহীন প্রপঞ্চ লুকিয়ে আছে তারে আমি কীমতে প্রকাশ করি? যদ্দুর প্রকাশ পায় তার অধিক অপ্রকাশ রয়ে যায়। ক্রম সম্প্রসারণশীল। ক্রম বর্ধনশীল। কোন সুদূরে গিয়ে থেমেছে এই ক্রমের ইতি! সসীমের সীমা আছে। তাই খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্তি আসে। অসীম অক্লান্ত অহর্নিশ কিন্তু অনন্তের আবরণে আপনারে রেখেছেন ঢাকি!?
(চলবে)