Pages

Wednesday, May 21, 2008

কবি'র অনুভূতি, কেরামতি, মর্যাদা এবং কবিতা-শিল্পের জিওন মরণ

কবি'র অনুভূতি বা শিল্পের কেরামতি

শিল্প নিয়ে যারা মাথা ঘামান, তাদের প্রায় সবারই জানা, শিল্প- মিথ্যার মাধ্যমে সত্য তুলে ধরে আর শিল্প অদৃশ্য এক মোহন মায়া।কবি সুন্দরের আরাধনা করেন; শিল্পের সাধনা করেন। কবি'র অবলম্বন ভাষা। তিনি সতত আন্দোলিত তার ভাবের জগতে। তিনি পাথরকেও কাঁদতে দেখেন। আকাশ তাঁর সাথে কথা বলে। বাতাস কানে কানে কিছু বলে যায়; বনের অচিন পাখিটির ভাবজগতকেও দেখেন; ফুলের সুরভীকেও নৃত্য করতে দেখেন, স্বদেশ স্বকৃষ্টিকে ধর্ষণ হতে দেখেন। আর দেখেন দৃষ্ট বাস্তবতার বাইরের পরাবাস্তবকে। এবং দেখেন যাদু বাস্তবতা ও বস্তুর অন্তর্গত বাস্তবের বুনন। এই দেখাটা হয় কবি'র শিল্পতৃষ্ণাবোধ থেকে, অন্তর্গত সুচেতনার মোহন তাগিদ থেকে। ক্ষেত্র বিশেষে কবি জ্বলে ওঠেন বিক্ষুব্ধ চিতার মতো, ক্ষ্যাপা শিম্পাঞ্জির মতো। তিনি রূপকে উপমায় উপলব্দির সারাৎসার প্রকাশ করেন শব্দের সুন্দরতম বুননের মাধ্যমে। কবি'র ভাষাতে ব্যাকরণ ফেটে চৌচির হয়। শৃংখলা ভংগ হয়। কবি তাঁর শিল্পের স্বপক্ষে নুতন শৃংখলা গড়ে তোলেন; সুষমামন্ডিত করেন তাঁর নিজস্ব ব্যঞ্জনা। তাই প্রচলিত ব্যাকরণে অভ্যস্ত মানুষও কবি'র সৃষ্ট ভাষার শৃংখলাকে গ্রহন করে সানন্দে। কখনো বিস্তারিত সময় সাপেক্ষে। কখনো কবিতার অন্তর-কথা বোধগম্য না-হওয়া সত্বেও মায়া লাগে। এটাকে হয়তো বলা যায় কবি'র অনুভূতির কারিশমা বা কবিতা-শিল্পের কেরামতি।কবি'র অনুভূতি অন্যান্য মানুষের মতো হয়েও আলাদা। অনুভূতি হলো মনোদৈহিক ক্রিয়ার ফল। দৃশ্য থেকে প্রাপ্ত তথ্যকে কবি শৈল্পিক ব্যঞ্জনাসমেত প্রকাশ করতে চান। সেখানে ঘটনার প্রতিবেদন থাকার পাশাপাশি থাকে অন্তর্গত সত্যের প্রকাশ। কবি তাঁর অনুভবকে প্রকাশ করতে চান সৎভাবে। হোক সেটা কোনো দৃষ্ট বাস্তবতার অন্তর কিংবা তাঁর নিজস্ব সুররিয়েল মেটাফরের কথা। কিন্তু কখনো তাঁর সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে অজ্ঞজনেরা।কবি ও কবিতার মর্যাদাযুগ যুগ ধরেই কবি ও কবিতার মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আসছে কিছু মানুষ। কিন্তু কবি ও কবিতার জনম থেমে যায় নি। যাবেও না। সক্রেটিসও কবিদের দেখতে পারতেন না। অথচ কবিরাই মানবসভ্যতাকে সুষমামন্ডিত করেছেন। তাই বলা হয়ে থাকে মানবজাতির শ্রেষ্ট আবিস্কার কবিতা। কবি বিজ্ঞানীকে উদ্বুদ্ধ করেন। ম্যাটাফিজিক্সকে খুলে খুলে দেখাতে পারেন কবি। দেশে দেশে কবিরা নুতন নুতন অধরা মাধুরী আবিস্কার করেন, উদ্ভাবন করেন কবি। তাঁর মগ্নচৈতন্য শাণিত থাকে। মনোলোক থেকে কেটে কেটে বা চিরে চিরে বের করেন সুষমা। তিনি তৃষ্ণার্ত সারাক্ষণ। পিয়াস মিটে না। দৃশ্যের বা কল্পদৃশ্যের অন্তর সহবাসে, সহস্র সন্তান জনম দিয়েও তিনি ক্লান্ত নন। মিলনে মিলনে মৃত্যুর দিকে যেতে আলোকিত হতে থাকেন, আলো ছড়িয়ে দেন। কবি'র মন ও মনন আমৃত্যু সবুজ শ্যামল।তবু দেশে দেশে কবি ও কবিতার অবহেলা হয়েছে অনেক। অতীতের গহবরে চলে যাওয়া সময়ে অজস্র প্রমান আছে বহু কবি'র কাব্যকৃতি আচ্ছাদিত ছিলো। আবার অতীত খুঁড়ে বিগত কবি ও কবিতার যথাযথ সম্মানও দিয়েছেন কেউ কেউ। গুণী গুণ শনাক্ত করতে পারেন। গত শতকের এক আলোকোজ্জল কবি টি এস এলিয়ট। তিনি অতীত খুঁড়ে খুঁড়ে তার সময় থেকে দু'শ বছর আগে পৃথিবীতে আসা কবি ও কবিতাকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই আমরা চিনতে পারি, বিস্ময়কর কবি জন ডান, এ্যানড্রু মারভেল প্রমুখ কবি'র কবিতা। আমাদের আবদুল মান্নান সৈয়দ সম্পূর্ণ নির্মোহ অবস্থান থে'কে উদ্ভাসিত করেছেন জীবনানন্দ দাশ কে।এখানে বলা ভালো, কবিতার শিল্পগুণ বিচারক যদি হয় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট; যদি হয় কুয়োর ব্যঙসদৃশ পন্ডিত তাহলে তার কাছ থেকে কবি বা কবিতা-শিল্পের যথাযথ মর্যাদা পাওয়া যায় না। কেননা ওই বিচারক বা সমালোচক রাজনৈতিক উপযোগিতার দিকেই খেয়াল দ্যায় বেশি। কবিতার বা সাহিত্যের সমালোচনা অবজেকটিভ হোক কিংবা সাবজেকটিভ হোক, নিষ্ঠাবান সমালোচককের দৃষ্টি হতে হবে রাজনৈতিক চেতনামুক্ত। পন্ডিত কবি এলিয়ট তা দেখিয়ে গেছেন পুংখানুপুংখভাবে।আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর ছায়ায় কবিদের রাখা হয় বা রাখার চেষ্টা চালানো হয়। দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচকও আছেন। যাদের কাজ 'তেল দেয়া' নয় 'বাঁশ দেয়া'। ওখানে প্রকৃত শিল্পের কদর কখনো কাকতালীয় নজরে পড়ে। খুব অল্প সংখ্যক ছাড়া আমাদের সাহিত্যের, শিল্পের, সৃজনশীল সমালোচক নেই।বিশুদ্ধ কবিতা বিশুদ্ধ শিল্পের নিজের কোন পক্ষপাত নেই। সে যার হাত ধরেই আবির্ভূত হোক, সে সকলের হয়ে যায়। শিল্প সেই নিষ্পাপ ফুটফুটে শিশুটিরও মতো, যাকে শতধা বিভক্ত প্রতিটি মানুষের ভালো লাগে; কোলে নিয়ে আদর করতে ইচ্ছে হয়। আবার, কবিতা-শিল্প সুর্যালোকের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির মতোও সংহারী। কবিতা-শিল্প আংকিক বিজ্ঞানীর সূত্র অন্বেষণের ইশারাও দ্যায়। কবিতায় স্ফুট কল্পদৃশ্যের দর্শন বিজ্ঞানীর অনুসন্ধিৎসার দিক নির্দেশও করে। এ্যারোপ্লেন আবিস্কারের অনেক আগে কবিরা মানুষকে পাখির মতো উড়িয়েছেন দেশে দেশে! বহুবিধ কবিতায় টেলিপাথিক বাস্তবতার দৃশ্যকল্প এসেছে। আইনস্টাইন নিভৃতে বেহালা বাজিয়েছেন, কবিতা পাঠ করেছেন, শিল্পের মায়ায় নিজেকে জড়িয়েছেন।কবিতা-শিল্পের জিওন মরণপ্রাচীন কবিতা, মধ্যযুগীয় কবিতা, সাম্প্রতিক কবিতা, আধুনিক কবিতা এসব বলার আসলে কোনো মানে নেই মনে হয়। গতকাল লেখা একটি কবিতা যদি দেখা যায়, প্রতিপঠনে অন্তর নাড়া দ্যায় না, সুগভীর উপলব্ধিকে ধারণ করে না, শৈল্পিক মায়ায় জড়ায় না, সে-কবিতা জনমের পরের দিনই মৃত হতে পারে। আর অর্ধ শতাব্দী আগে লেখা কবিতা যদি আজকের পঠনে শিহরণ দ্যায়, সে-কবিতা জীবিত। বোধে বিপ্লবে ভালোবাসায় তার সম্মান অক্ষুন্ন। এই বিপ্লব রাজনীতির নয়, হৃদয়বৃত্তির বিপ্লব। যেখানে মানুষ শুধু মানুষের ধ্রুপদী চেতনার ব্যঞ্জনা, মুখোশহীন মানুষের বন্দনাও বিধৃত। আমাদের মধুসুদন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, সৈয়দ শামসুল হক, দিলওয়ার, নির্র্মলেন্দু গুণ প্রমুখের অনেক কবিতা-শিল্প যুগ যুগ বেঁচে থাকবে। (উদ্ধৃতি দিতে পারছি না, প্রবাসী এই অধমের সংগ্রহে নেই প্রয়োজনীয় উদ্ধৃতি । পূর্ব পাঠের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।) তাছাড়া আমাদের বিশাল লোক সংগীতের ভান্ডারের আবেদন হারিয়ে যাবার নয়।বহুশ্রুত প্রতিটি লোক সংগীত একেকটি অনুপম কবিতা-শিল্প। আর হোমার দান্তে শেক্সপিয়র মিলটন এবং ম্যাটাফিজিক্যাল কবি গ্যাটে রুমি হাফিজ ইকবাল প্রমুখের কবিতা-শিল্পও মরে যায় নি। ইসলামপূর্ব সময়ের দুর্দান্ত আরব প্রেমের কবি ইমরাউল কায়েস আজো অম্লান। সেই সময়ে উকাজ নামক স্থানে বাৎসরিক কবিতা উৎসবে তৎকালের সাত জন কবি'র শ্রেষ্ট কবি ছিলেন এই কায়েস। তাঁর প্রিয়তমার নাম ওনয়জা। দারতুল জুলজুল নামের স্নান উদ্যানে প্রিয়তমাকে এক নজর দেখার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে ছুটে যেতেন। পথে পথে খেজুর গাছের তলায় পড়ে থাকতেন কায়েস। তাঁর কবিতার সুষমা মনোমুগ্ধকর। জানা যায়, ইসলামের নবী সঃ কবি ইমরাউল কায়েসের কাব্যসুষমার প্রশংসা করেছিলেন।(আসলে এই লেখাটি কমপক্ষে আরো তিন গুণ বিস্তার হওয়ার দাবী রাখে। আপাতত ইতি টানলাম। আরো কিছু কথা হয়তো অন্য শিরোনামে পরে বলা যাবে।)

Wednesday, April 2, 2008

একটি প্রেমাক্রান্ত ঈষদুষ্ণ প্রশ্ন

এই যে ভাবতে থাকি ভাবতেই আছি দিন রাত অগণন বিষয়ের ভেতরে ডুবে থেকে যেখানে ভাবনার প্রতিটি টার্নিংয়ে তোমার উপস্থিতি দেখে আমি উৎফুল্ল হই ভুলে যাই জীবনের কষ্ট ক্লান্তি দীর্ঘশ্বাস যা কিছু জমা হয় ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় একাকি জীবনের এই বেলায় তুমি যে এলে আমার ভাবনায় সারাক্ষণের সাথী হয়ে জাগরণে ঘুমের ঘোরে শব্দ বাক্য ভাষা বুননের গঠন রীতি অমান্য করে দাড়ি কমা যতি চিহ্নহীন ভাষার আদলে উপমা উৎপ্রেক্ষা সহযোগে বর্ণিল বর্ণচ্ছটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যখন আমি শুনি শ্রীকান্তের কন্ঠে- 'কেনো দূরে থাকো শুধু আড়ালে রাখো/ কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো' কিংবা শুনি রবীন্দ্রনাথের- 'আজ শ্রাবনের আমন্ত্রণে হৃদয় কাঁপে' তখন মৃত্যু অবধি ভুলে না যাবার প্রত্যয় ঢুকিয়ে দিলে মস্তিষ্কের মধ্যিখানে এর জন্য তোমাকে সাধুবাদ দেবার মুহুর্তেই মনে হলো গাংচিলের ডানায় বসে উড়ে বেড়াবার সাধটুকু পুরণ করার সুযোগ নিতে গিয়ে কোনো একদিন তুমি যদি আমার ভাবনার গহন থেকে বেরিয়ে দূর দিগন্তের পাড়া গাঁ'র সবুজ কোনো বনভূমি কিংবা দোয়েল শালিকের মায়ায় কিংবা কর্তৃপক্ষীয় ইচ্ছার কাছে নিজেকে সমর্পন করে কোন ডার্ক মেটার কিংবা ব্ল্যাকহোলের অভ্যন্তরে জীবম্মৃত হয়ে বেঁচে থাকাকেই বরণ করে নাও তখন একবুক শুন্যতার ভেতরে কাল কাটানো সম্ভব হবে না বলে আমাকেই জীবম্মৃত হয়ে বেঁচে থাকতে হবে যদিও এই কথা সত্য যে তুমি কখনোই আমার থট প্রসেসের মেকানিজমের ভেতর থেকে পালিয়ে যেতে পারবে না যতদিন আমার ভাবনা সচল থাকবে এবং অনুল্লেখ্য এও জানি এখন সময়টাই এই রকম যে হাজব্যান্ড-ওয়াইফ-চাইল্ড যার যার পাসওয়ার্ড গভীর গোপন রাখে তবু শংকাবোধ আসে আমার হাইপার সেন্সিসিটিভ সত্তার অন্দর থেকে তা কি তুমি বুঝতে পেরেছো?

মায়াবোধ ষোল আনা হতে বাকি নেই,পিঞ্জর অচেনা শুধু

দু'টি কবিতা

কেনো যে তোমাকে ভালো লেগে গেলো জানি না

তেরা হোসনু সে মেরা ক্যায়া হ্যায় গরজ/ তেরি জাত সে মেরা ইশক হ্যায়/ তুঝে দেখ নে কি হ্যায় আরজু/ তু খেজা মে হো কি বাহার মে'..................

কেনো যে তোমাকে ভালো লেগে গেলো জানি না
ভালোবাসাকে আমি ভয় করি
চলতে পথে নিয়ম-সূত্র ধরিচলা ভালো, তবু কখনো কখানো মানি না

কেনো যে তোমাকে ভালো লেগে গেলো জানি না
আজ কাল শুধু ভাবি তাই
দেখাবো, যদি কখনো সুযোগ পাই
শুধু বেঁচে থাকার জন্যে জীবনের ঘানি টানি না

কেনো যে তোমাকে ভালো লেগে গেলো জানি না
ও ফুল ও পাখি ও নদী
তোমাদের সাক্ষী রাখি যদি
বলে দিও, প্রেম কোনো জলাশয়ের পানি না

কেনো যে তোমাকে ভালো লেগে গেলো জানি না
দেহের রূপের পাগল নই আমি
অন্তর দেখে ডুব সাঁতারে নামি
তোমার সমান বানাতে আর কাউকে টানি না

২.মায়াবোধ ষোল আনা হতে বাকি নেই,পিঞ্জর অচেনা শুধু

'কোকিল আমার উপায় বল
প্রাণ বন্ধুয়ার খবর জানলে আমায় নিয়া চল.......................'

সন্ধান শুরু হয়েছে জগতময়; এই পারে ওই পারে.....কে যেনো কার মনে বসত করে চুপিচুপি....
গ্রহবাসী সকলের বোধগম্য নয়, দু'টি মনের মায়াবোধ ষোল আনা হতে বাকি নেই একটুও....পিঞ্জর অচেনা শুধু
মেঘের কোলে রোদের হাসি উঁকি দিয়ে দেখে বারবার দু'টি পাখির বর্ণ ভাষার বিন্যাস....
মন কাড়ে পলকে প্রীতি.... আহা কি সুন্দর মৌমাছি-মনের মরম!
স্বপ্নগুলো ময়ুরের মতো পেখম মেলে
সময় থেমে যায়। কোথায় তারা? ইনফিনিট সময়ের অন্তরে?
ফুলের পরাগায়ন থেমে থাকবার নয়; এই কথা সকলের জানা...
জীবন রেখে যায় পৃথিবীতে আরেক জীবন, মায়ার কুহকে করে লেনদেন
তবু কিছু মানুষের স্বপ্নেরা অশ্রুর বান ডাকা জোয়ারে ভাসতে ভাসতে অবশেষ-নিঃশেষ হয়!
মনের মরমী বণিক
মরুপথ দীর্ঘ অতি,প্রণয়ের পত্র লিখে জানিয়ে দাও-
প্রতীক্ষাতেই প্রেমের মহিমা....বলে দাও- আমরা পরস্পরের ভাবনায় বসত করি...
মনে মনে অদৃশ্য মায়ার বাঁধনের কথা ছড়িয়ে দেই ঈথারের দিকে....

সন্ধান শুরু হয়েছে জগতময়; এই পারে ওই পারে.....কে যেনো কার মনে বসত করে চুপিচুপি....গ্রহবাসী সকলের বোধগম্য নয় , দু'টি মনের মায়াবোধ ষোল আনা হতে বাকি নেই একটুও....পিঞ্জর অচেনা শুধু

তোমাকে কেন্দ্রে রেখে রচিত ভাষার ব্যঞ্জন নিত্যবৃত্ত

আমার ইনবর্ন ফ্যাকালটির সাথে যোগসূত্র খুঁজি তোমার....
হয়তো ডিএনএ'র শিকলে লিপিবদ্ধ বিধিলিপি! যদি সে ভাষা পড়তে পারতাম.... হয়তো জানিয়ে দিতাম মৃত্যুর স্বাদ গ্রহনের তারিখ-দিনকাল....কিংবা বলতে পারতাম 'ধুর ভাল্লাগে না, যাইগা' কথাটি কেন খুন করে আমাকে বারবার... দাজ্জালের নাগাল পাবো না নিশ্চিত; পাই যদি তার অবিশ্বাসের করাত যতোবার চিড়-ফালা করবে, ততোবারই বলবো- আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ.....আর বলে দেবো আমাকে পথচ্যুত করা সহজ নয়, স্রষ্টার প্রেম বুঝে নিতে সৃষ্টির প্রেম চর্চা করেছি নিরন্তর....
তোমার ভার্চুয়াল শব্দ বাক্যের ম্যাগনেটিজম আমাকে আপ্লুত করে......ভাষার কারিশমা বুঝে নিতে ভাষাপন্ডিত হতে হয় না। আমার কথার শব্দেরা তোমার অন্তরোদ্যানে নিশ্চিন্ত শিশুদের মতো খেলতে থাকে.....শব্দের ভেতরের শব্দার্থেরা বহু বর্নিল প্রেমের প্রকাশ করে অথচ আমি এমন মুর্খ দেখো, তোমার উপমা খুঁজে ফিরি পথে পথে আর তৃষ্ণার্ত ক্লান্ত হয়ে থেমে যাই....
মরুভূমির কোনো বেদুঈনের সাথে আমার সখ্যতা নেই, সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি.... তুমি কি আমাকে মরুভুমির দিকে মুখ ফেরাতে বলো? অতোটা নিঠুর হতে পারা তোমাকে মানায় না তাও আমি বুঝতে পেরেছি তোমার শব্দ বাক্যের অন্তর দেখে!
বর্তমান কাল বিজলীর চমক! এই দেখি এই নাই! হাস্যকর মানুষের প্রজ্ঞা বলে কাল তিন প্রকার! অথচ অতীত ও ভবিষ্যত মাথায় রেখে যাবতীয় কৃষিকাজ আর ব্যবসাবৃত্তি। তবু নিত্যতার দিকে চেয়ে থাকি অসহায় পথকলির মতো.... শুধু চেষ্টা করি তোমাকে কেন্দ্রে রেখে রচিত আমার ভাষার ব্যঞ্জন নিত্যবৃত্ত বর্তমান থাকুক.....

তৃষ্ণা দীর্ঘায়িত করো হে অচিন পাখি

'থাকবো না আর এই আবেশে
চল রে মন আপন দেশে'
Do not seek water, seek thirst.............................

তুমি অচেনাই থাকো
তৃষ্ণা দীর্ঘায়িত করো হে অচিন পাখি
তোমাকে চেনার তৃষ্ণা আমার মৃত্যুসংলগ্ন করো
আর আমাকে মায়াজালে জড়িয়ে রাখো
তুমি কি জানো
মায়াহীন হলেই আত্মহননের দ্বার খুঁজতে থাকি?
আবারো বলছি, কখনো বলো না আগেভাগে চলে যাওয়ার কথা
আমাকে নিবিড় শুন্যতা দিয়ে তোমার স্বেচ্ছা চলে যাওয়া হবে আমার আত্মহননের ছাড়পত্র
পাখি, আমার ইচ্ছে করে তোমার নিকটবর্তী হই
কিন্তু হায় নৈকট্য পাওয়া মানেই তোমাকে পাওয়ার তৃষ্ণা হারিয়ে ফেলা।
তৃষ্ণার ভেতরে প্রণয়ের প্রাণ জেগে থাকে জানি তবু তোমার নৈকট্যের জন্য হু হু করে সত্তা হয় শক্তিহীন
আজব খেলা হে অচিন পাখি বড়ই আজব খেলা!
কোথায় যাওয়ার চেষ্টা উঁকি দেয়?সময়ের পরতে পরতে রঙ ও রঙের তুলি হাতে চিত্রকর!
ভালোবাসার পুলক অনুভবে ভাষাহীন হই
অথচ হায়! হাতে কলমে বুঝে নেয়ার সুযোগ হয় নি কখনো!
পাখি
বর্তমান অতীত ভবিষ্যত এক পটভূমিতে যিনি দেখেন
তিনি আমাকে কখন পরিচয় করিয়ে দিবেন তোমার সাথে?

মহাশুন্য আমাকে জিরো ডিগ্রীতে নিয়ে যায়

বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতো দিনে
মুক্তি মেলে না সহজে জড়ালে হৃদয়ে কোনো ঋণে
এই জগতে এমনো লোক থাকেস্বপ্ন দেখতে নেই যাকে
দুঃখের মুল্যতে যে কঠিন সত্য নেয় কিনে
-------জগজিত্ সিংয়ের গান..................

তলিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে বেদনার গভীর গহনে পাখিটি...... মেঘাচ্ছন্ন আকাশে উড়ে বেড়াতে চায় না সে, কিংবা তার ইচ্ছে করে না মেঘাচ্ছন্ন আলো-আঁধারের এই দিনে জীবিকার প্রয়োজনেও কোথাও যাবে। মৃত্যুময়তার আবেশে এক ধরণের বিষাদতার বোধও এসে আচ্ছন্ন করেছে তার মন ও চেতনের আকাশ জমিন.... শিরীষের শীর্ষ ডালে বসে কখনো, আবার কখনো সবুজ ঘাসের গালিচায় ঘাস ফড়িংদের নৃত্য দেখে অন্যান্য দিনের মতো আজ সে আমোদিত হওয়ার বিন্দু সম্ভাবনা নেই.... আজ সে ডানাভাঙ্গা প্রজাপতিটির আকুল আর্তনাদে বিমর্ষ.... সে ভাবছে কেনো এই আসা যাওয়ার পথে আহত হওয়া আর কষ্টের কান্তারে অযাচিত থেমে যাওয়া.....!পাখিটির বেদনার গহনে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য আমাকেও আচ্ছাদিত করে....সে কি স্বেচ্ছায় আত্ম হননের সম্ভাবনা তালাশ করে! মনে হলো পাখিটি এ রকম কিছু বললো- 'এখানে আর থাকতে মন চায় না, ধুর, যাইগা ভাল্লাগে না!'আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে মুহুর্তেই! ভাবনাগুলো মধ্যাহ্নের ব্রেকিং-এ স্কুল বালিকাদের অগোছালো গোল্লাছুট খেলার মতো ....পাখিটিকে আমি চিনি না.... সে কি কোন সুমধুর গানের পাখি? কন্ঠের কারুকাজে সে বোধ ও ধারণাকে প্রকাশ করে আর মায়া ছড়ায়? যদি তাই হয়, সন্দেহ নেই এই পাখি এক অনিন্দ্য হাইপারসেনসিটিভ সত্তাকে ধারণ করে..... এই প্রকারের পাখি আমাকে শতাব্দী প্রলম্বিত মেঘের মায়ায় আচ্ছন্ন করে.... এই পাখির মনের তুলনা করি এমন উপমা খুঁজে পাই না...ভাষা ও শব্দ অসমর্থের আভাষ দেয়....!ক্লান্ত পরবাসী আমি শেষ রাত অবধি ল্যাপটপের পর্দায় পাখিটির জীবনবোধ দেখার ভাষারূপ দিতে বারবার থেমে যাই....আমার হৃদয়ের চোখ পাখিটিকে দেখে আর বলে ওঠে- অচিন দেশের অচিন পাখি, ফিরে যাওয়ার স্বাভাবিক সময়ের আগে কখনো স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করো না....তোমার নিরব নিভৃতের কান্না শিশিরের নৈঃশব্দকেও উদ্বেগাকুল করে, ম্লান করে দেয় চন্দ্রিমার উজ্জল হাসি..... শ্যামল বাংলার প্রান্তর, ফসলের জমি বিষাদাক্রান্ত হয়!আর আমি ভিজতে ভিজতে ভাষার বুনন জ্ঞান হারিয়ে লগ অফ করে নিভিয়ে দিতে বাধ্য হই ল্যাপটপের প্রাণ...দুঃখের মুল্যতে কঠিন সত্য কিনতে গেলে আমি শাসরুদ্ধ হয়ে যাবো...পাখি তুমি আর কোনদিন বলো না স্বেচ্ছা আত্মহননের কথা....মহাশুন্য আমাকে জিরো ডিগ্রীতে নিয়ে যায়.......!!

Uncertainty principal and our political leaders

‘Uncertainty Principle’ and our political leaders

Physicists developed the theory ‘Uncertainty Principle’. It means, ‘one can never exactly be sure of both the position and velocity of a particle; the more accurately one knows the one, the less accurately one can know the other.’ (Glossary, A Brief History of Time by Stephen Hawking) Interestingly, I see our political leaders too are (excluding Sheikh Mujibur Rahman and Ziaur Rahman) following the ‘Uncertainty Principle’! We, the ordinary people, have not been able to understand their position and velocity. Especially those who have ruled the country for the last 36 years, whatever they delivered at public meetings were not the truth. Some leaders created chaotic situations intentionally, stressing on less important things. They have shown some effort to strengthen their position and speed up their velocity. However, it seems, the ‘Uncertainty Principle’ of our political leaders is breaking down step by step. The military-backed caretaker government is bringing that about. We do not want to see them failing to bring about the ‘certainty principle’!

Sarwar chowdhury
Abudhabi, UAE
http://www.newagebd.com/2007/sep/04/fb.html

Tuesday, January 22, 2008

তোমাদের হিংস্র মুখমন্ডলের মানচিত্র জ্বালিয়ে দেবো

বেনিয়া অর্থলোলুপ সাম্রাজ্যবাদীরা শোনো
যতদূর এগিয়ে এসেছো সভ্যতাদের ধ্বংস করে করে
ওখানেই দাঁড়িয়ে যাও

আর আগে বাড়ার চেষ্টা করবে না
তোমাদের হিংস্র মুখমন্ডলের মানচিত্র জ্বালিয়ে দেবো।

পৃথিবীর আহ্নিক গতি বার্ষিক গতি সাক্ষী
আমরা তোমাদের এটম ক্লাস্টার বোমার ভয়ে ভীত নই
আমরা মরতে মরতে বেঁচে আছি শতাব্দীর পর শতাব্দী
তোমাদের সহস্র বছরের অত্যাচার সাক্ষ্য দেবে
লাখো লাখো নারী ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে
তোমরা সারমেয়দের জেনারেল পদমর্যাদা দিয়েছো

আর আগে বাড়ার চেষ্টা করবে না
তোমাদের হিংস্র মুখমন্ডলের মানচিত্র জ্বালিয়ে দেবো।

মসজিদের পেছনে মন্দির
মন্দিরের পেছনে মসজিদ
মসজিদের পেছনে গীর্জা
গীর্জার পেছনে মসজিদ
এইভাবে এক জাতির পেছনে আরেক জাতিকে
উস্কে দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লাগিয়ে দাও তোমরা।
গরীব অসহায় দুর্বল মানুষেরা
তোমাদের সাধু সন্তের মতো চেহারা দেখে
তোমাদের দিকে বিপুল ভরসায় পাতে হাত
তোমরা তাদের উপর করো বোমার আঘাত

আর আগে বাড়ার চেষ্টা করবে না
তোমাদের হিংস্র মুখমন্ডলের মানচিত্র জ্বালিয়ে দেবো।

কী করেছো ইরাকে?
কী করেছো ফিলিস্তিনে?
কী করেছো ইরানে ?
কী করেছো রাশিয়ায় আফগানিস্তানে?
কেন এতো আর্ত চিত্কার এশিয়ায় আফ্রিকায়?
কেন শত শত হেক্টর ফিলিস্তিনের ভূমি
তুলে দিয়েছো ইজরায়েলের হাতে?
কেন আরব সাগরের তেল লুট করে নিয়ে
ইজরায়েলকে দিয়েছো এটমিক এনার্জি?
তোমরা বলে বেড়াও- দেশে দেশে বছরভর মানবিক সাহায্য দাও
তোমাদের মানবিক সাহায্যের গোষ্ঠী মারি!
হাজার বিলিয়ন লুট করে নিয়ে
দশ মিলিয়ন বন্টন করে দেখাও তোমরা দরদী!

আর আগে বাড়ার চেষ্টা করবে না
তোমাদের হিংস্র মুখমন্ডলের মানচিত্র জ্বালিয়ে দেবো।

আরব সাগর পারের দালালেরা তোমাদের শক্তি যুগিয়েছে
তোমাদের 'শাটল ডিপ্লোমেসী' আমরা বুঝি
আমরা বছরের পর বছর উত্তরনের উপায় খুঁজি
কিন্তু আমাদের ঘরের শত্রু বিভীষণ-দালালদের
ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে যাই বারবার।
তবু তোমাদের স্মরণ করিয়ে দেই-
বাংলাদেশ নামের দেশটির জন্মের ইতিহাস
ধর্মকে বর্ম হিসাবে ব্যবহার করে
তোমাদের পা চাটা দালালেরা বাংলাদেশের জন্ম ঠেকাতে পারে নি।
ভিয়েতনামের শাদা মনের মানুষেরা
সফলভাবেই তাড়িয়েছিল সাম্রাজ্যবাদীকে।

চেঙ্গিস হালাকু খানেরা টাইগ্রিস ফোরাতের পানি রক্ত লাল করেছিল
তোমরা ইরাককে ক্ষত বিক্ষত করেছো
কিন্তু ইরাক মরে যায় নি
পোষা পাপেটদের দিন শেষ হয়ে যাবে
ইরাক আবার সেই ইরাক হবে
তোমাদের পেছনে পালাবার অধ্যায় শুরু হবার অপেক্ষা শুধু

আর আগে বাড়ার চেষ্টা করবে না
তোমাদের হিংস্র মুখমন্ডলের মানচিত্র জ্বালিয়ে দেবো।

তোমাদের সর্বভূক তৃষ্ণা কখনো মেটে নি
কে বলেছে সমগ্র পৃথিবী তোমাদের নিয়ন্ত্রণে?
বহুজাতিক মুষ্ঠিবদ্ধ হাত ঐক্যবদ্ধ
আস্তিক নাস্তিক ধার্মিক যারা তোমাদের সাথে আছে
তারা দালাল তারা শত্রু চিহ্নিত
আমাদের আস্তিক নাস্তিক ধার্মিকেরা সম্মিলিত ক্ষুব্ধ ক্ষিপ্ত
তোমাদের বহুজাতিক কর্পোরেটের বিরুদ্ধে
সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী সব

আর আগে বাড়ার চেষ্টা করবে না
তোমাদের হিংস্র মুখমন্ডলের মানচিত্র জ্বালিয়ে দেবো।

Wednesday, January 2, 2008

'কথায় কথায় মৌলবাদ বলেন তারা কি জর্জ বুশের লোক নয়?'

'কথায় কথায় মৌলবাদ বলেন তারা কি জর্জ বুশের লোক নয়?'

আহমদ ময়েজ সম্পাদিত 'ভূমিজ' এ প্রকাশিত মনজুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক নেয়া ফরহাদ মজহার এর সেই আলোচিত সাক্ষাৎকারটির অংশ বিশেষ এখানে তুলে দেয়া হলো।
'নোয়াখালির সাথে মার্কিন মুল্লকের, লুঙ্গির সাথে ঝুটির, কোরআন হাদীসের সাথে কমিউনিষ্ট মেনিফেস্টোর, লালনের সাথে লেলিনের, জেহাদের সাথে শ্রেণী সংগ্রামের, ঐতিহ্যের-নবপ্রাণের সাথে মার্কসবাদের সর্বোপরী মুসলমানিত্বের সাথে মনুষ্যত্বের সংযোগ বা সমন্বয় বা আলোচনার চেষ্টা যিনি করছেন তাঁকে নিয়ে তো চমৎকার বিতর্ক হতেই পারে।'
ফরহাদ মজহার বলেছেন-
'আমাদের নিজেদের সরকার নেই। যতই আমরা দাবী করি আসলে সরকার চালাচ্ছে বিদেশীরা, বিভিন্ন সংস্থা, এজেন্সি ইত্যাদি। আমি বলব আওয়ামীলীগ বলি আর বিএনপি- সরকার আমাদের জন্য সমস্যা না, আপনি অলওয়েজ কাউকে না কাউকে পাবেন দেশকে ভালোবাসে, কারণ আপনি একা ভালোবাসেন এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রথম বাইলেটারাল ডোনার্সরা এবং আপনার ডিপ পলিটিসাইজেশন, যে একটা বিশাল প্রাইভেট সেক্টরের এনজিও গড়ে উঠেছে যাদের জন্য অনেক সময় ভালো কিছু করা যাচ্ছে না। সরকারের সাথে বিরোধিতা হয় ডোনার্সদের জন্য।'
'নাস্তিক্যবাদ খুব নিম্নস্তরের দর্শন।......আমি নাস্তিক্যবাদী না, ডেফিনিটলি, আমি নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে, আমি মনে করি নাস্তিক্যবাদের জন্য বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।'......আমাদের দেশে যারা মার্কসিস্ট দাবী করেন বা কথায় কথায় মৌলবাদ বলেন তারা কি জর্জ বুশের লোক নয়? এখন আমাদের কী করতে হবে? আমি মৌলবাদ শব্দটি পছন্দ করি না।.....দেখুন, মৌলবাদ শব্দটি পলিটিক্যালি লোডেড ডাউন, এটা বিশ্বাস অবিশ্বাসের বিষয় নয়। মৌলবাদী হলেন কি হলেন না- এটা ইমমেটেরিয়েল। আচ্ছা হ্যাঁ একাত্তুরের বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত, ওদের বিচার হওয়া উচিত এবং ফাঁসি হলে ফাঁসি দেয়াও উচিত, কারা এটা করে নি, আসুন যারা করে নি তাদের আগে কাটগড়ায় দাঁড় করাই। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল, তথকথিতভাবে যারা মৌলবাদ বিরোধি তারা ক্ষমতায় ছিল কিন্তু কিছুই করে নি। কিন্তু যে ৭১ এ জন্মগ্রহনই করে নাই, হয়তো শুনেছে যে জেহাদ বলে একটা ভাষা আছে যার মাধ্যমে সে তার পলিটিক্যাল রাগ প্রকাশ করতে চাইছে- তাকে আমি আঙ্গুল দিয়ে রাজাকার বলবো না।......আমি বলছি যে কিছু না জেনে আমি যদি আগেই কাউকে মৌলবাদী বলে আখ্যা দিয়ে দেই তাহলে ডায়লগের কোন জায়গা থাকে না।'
'আমাকে যদি আপনি এখনো জিগ্যেস করেন আমি বলবো, লাদেন ইজ এ্যা ফিকশন, আমেরিকা লাদেনকে তৈরী করেছে যুদ্ধ করার জন্য। আপনি ১৩০ কোটি মানুষকে মৌলবাদী বলে বোমা ফেলতে চাচ্ছেন তখন পলিটিক্যালি আমার প্রথম কাজ হবে এদেরকে রক্ষা করা- সে কারণে আমাকে দেখাতে হয়েছে বিভিন্নভাবে যে আমাদের দেশের মানুষ নানাভাবে শ্রেণী সংগ্রাম করে তার মধ্যে জেহাদের ভাষা একটা।'
'দেখুন, বিপ্লবী রাজনীতি যদি আপনি চিন্তা করেন তাহলে সমস্ত ইকুয়েশন হবে ইকোনোমিক জায়গা থেকে।.......মৌলবাদের পক্ষ-বিপক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ সেখানে কাজ করবে ন, সেখানে অর্থনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে শত্রু মিত্র নির্ধারণ হবে। এখন এই ইসলামী দলগুলোও প্রমান করতে পারে যে এরা গরীবের বন্ধু, শ্রমিকের বন্ধু তাহলে গরীব ও শ্রমিক ওদের পক্ষে যাবেই।'
'আমি আমার মায়ের জায়নামাজে বসে মহাভারত-রামায়ন পড়েছি, মানে একটা মুসলিম পরিবারের উদার আবহাওয়ার কথাটা বলতে চাচ্ছি। এটাকে আমি বলছি হিস্ট্রিক্যাল প্রিভিলেজ যা একজন মুসলিম হিসাবে আমার আছে। এক্ষেত্রে আমরা কোরআনকে যেমন আমাদের সংস্কৃতির অংশ করেছি, রামায়ন মহাভারতকেও করেছি, কিন্তু একজন হিন্দু পারিবারিক পরিবেশে তার আচার আচরণ বা ধর্মের মধ্যে উদারতার সে জায়গাটুকু নেই। এ কারণে দু' সম্প্রদায়ের মনোগাঠনিক স্তর বা অবস্থান ঐতিহাসিকভাবেই আলাদা, আমি বলছি না যে কে দোষী বা কে নির্দোষভ'
'আমি জাতি রাষ্ট্রে বিশ্বাস করি না, এটা ননসেন্স একটা কনসেপ্ট। রাজনীতি বিজ্ঞানে বলা হয়.... আমেরিকা, ভারত কি জাতি রাষ্ট্র? বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র হবার কি আছে? একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা চাই, আধুনিক একটা রাষ্ট্র হিসাবে আমরা এর স্বাদ পেতে চাই। চাকমা, সাওতাল মুরংরাও এ দেশের নাগরিক থাকবে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে যা পারি না রাষ্ট্র আমাকে সেক্ষেত্রে সহায়তা দেবে, কোনো ধর্মের ভিত্তিতে নয়। আমি সেকুলার রাষ্ট্র চাই।'