Pages

Thursday, March 22, 2012

'দিস ইজ এ্যা ডগ বার্কিং': ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি (দুই)

ইউ জি কৃষ্ণমূর্তির প্রায় সকল কথোপকথনে কিছু বিষয় ঘুরেফিরে বার বার এসেছে। 'চিন্তা কী', 'মন একটা মিথ যেনো', 'সমস্যা আর সমাধান', 'আত্মা আর শরীর' ইত্যাদি। সমাধানকেই সমস্যার মূল বিবেচনায় রেখে তিনিও সমাধান খোঁজেন এবং সিদ্ধান্ত দেন। তিনি যখন সিদ্ধান্ত দেন,তখনই প্রশ্ন আসে, কিসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেন? সিদ্ধান্তগুলো তাঁর মস্তিষ্কজাত অসাধারণ কিছু কি না!

পূর্বের বিজ্ঞানীর আবিস্কার ইউ জি'র অমূল্য বচন হয় কেমনে!

'সায়েন্স এ্যান্ড ইউ জি' শীর্ষক দীর্ঘ রচনাতে তাঁর ভক্ত Professor O S Reddy ইউ জি'র বচনাবলীর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বের করে দেখান। (যদিও ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রারও বিরোধিতা করেছেন বেশ কিছু কথোপকথনে জোরালোভাবে।) রেড্ডি'র দীর্ঘ রচনাটিতে ইউ জি'র সকল মূল আর্গুমেন্টকে সামনে এনেছেন।

Professor O S Reddy উল্লেখ করেছেন-

১.

THE UNIQUENESS OF MAN, "Each individual by virtue of his genetic structure is unparalleled, unprecedented, and unrepeatable." -U.G.

পশুর মতো মানুষের জীবন!

জগত পর্যবেক্ষণ করে ইউ জি যদি তাঁর অন্তর্দৃষ্টি দ্বারা এই উপলব্ধি পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা ভালো বোধ পেয়েছেন বলা যায়। কিন্তু যদি এমন হয়ে থাকে যে, মানুষ অতুলনীয় হওয়ার ব্যাপারটা তিনি পঠন থেকে তাঁর মেমরীতে জমা করেছেন এবং পরে কথোপকথনে বলেছেন, তাহলে এই বিবৃতির জন্য তাঁর বিশেষত্ব থাকে কী? দেখা যায়, মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কোরআনে বলা হয়েছে: لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ ‘নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি উত্তম গঠনে’ (সূরা আত তীন:৪)।

অধ্যাপক রেড্ডি এই অংশের ব্যাখ্যাতে প্রসঙ্গক্রমে দার্শনিক চিত্রশিল্পী লিওনার্দ দা ভিঞ্চির জন্মের কথা এনেছেন। বলেছেন, ভ্রাম্যমান সৈন্যটি কর্তৃক অবলা এক নারীর সাথে বিয়ে বহির্ভূত যৌন মিলনের ফলে গর্ভে আসে এত বড় শিল্পী দা ভিঞ্চি। অধ্যাপক রেড্ডি ইশারায় বোঝালেন এভাবেই অবাধ প্রজনন চালু রাখলে মেধাবী মানুষ আসতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মানবজাতির ইতিহাসে আসা মেধাবী মানুষগুলোর সবাই কী বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের দ্বারা এসেছে? নিশ্চয়ই না। অজস্র বিজ্ঞানী দার্শনিক জন্মেছেন বিভিন্ন ধার্মিক পরিবারে, বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার দৌলতে। দা ভিঞ্চি'র মতো ঘটনাগুলো ব্যতিক্রম। এই ব্যতিক্রমের যথার্থ ব্যাখ্যা কি কেউ জানে না।

অধ্যাপক রেড্ডির মতে, 'If man had functioned as an animal in nature, in tune with it, his sensory system should have been in tune with nature. The fixations of mind are the malignancy of mankind.' জন্তু জানোয়ারের মতো মানুষের জীবন যাপন সম্ভব কী? ফ্রয়েড তো অনেক আগেই দেখিয়ে গেছেন মানুষের 'এ্যানিমালিটি' এবং 'রেশনালিটি'। রেশনালিটির কারণেই মানুষের বিশেষত্ব। কিন্তু প্রকৃতির সাথে মিলবার জন্য মানুষকে পশুর মতোন হতে হবে কেন? ইউ জি তো ফ্রয়েড মিয়াকে গালি দিয়েছেন। বলেছেন, 'ফ্রয়েড একটা ফ্রড (প্রতারক) ছিল। ইউ জি'র ভাষায় মানুষ পশু, তবে 'এ্যাক্সট্রাঅডিনারি এ্যানিম্যাল'।

ইউ জি বলেছেন THE INNATE INTELLIGENCE OF THE BODY এর কথা। এই ব্যাপারটা তো মানবজাতি অনেক আগেই জেনেছে যে, ইমমিউন সিস্টেমের দ্বারা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অসাধারণ। ইমমিউন সিস্টেম তার নির্ধারিত নিয়মে কাজ করে শরীরে। মানুষের বুদ্ধির সাথে এর কোনো যোগ সাজশের দরকার হয় না। তো, এই ইমমিউন সিস্টেমের ব্যাপারটা ইউ জি মহোদয়ের নতুন কিছু নয়।

২.

প্রফেসর রেড্ডি ইউ জি কৃষ্ণমূর্তির উদ্ধৃতি দিয়েছেন- "Order and disorder occur simultaneously in nature." -- U.G.

এই উদ্ধৃতির পক্ষে প্রফেসর রেড্ডি ব্যাখ্যা দেবার আগে তো ভাবা দরকার ছিলো, 'Einstein's general theory of relativity has proved, from the verification of the perihelion of Mercury, the bending of light due to gravitational effects, red shift, and the phenomenon of black holes.... black holes and gravity are manifestations of order and disorder in the universe.'

আইনস্টাইনের তত্ত্বের ব্যাখ্যা পাঠ করে কেউ এমন অর্ডার-ডিসঅর্ডার সম্পর্কে ডিসকাশন করতে পারে। আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো, কসমোলজিক্যাল কোনো তত্বের ভিত্তিতে কোনো প্রিডিকশনকে অমোঘ বাণী বলার সুযোগ আছে কী? তত্ত্ব তো বাতিলযোগ্যতা ধারণ করে। এমন হতে পারে ভবিষ্যতের মেধাবীরা দেখাবে যুগপত অর্ডার-ডিসঅর্ডার বলে কিছু নেই। যথেষ্ট ব্যতিক্রম আছে। এ ছাড়া প্রফেসর রেড্ডি দেখিয়েছেন ইউ জি 'বস্তুই শক্তি', এমন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন মানবজাতির উদ্দেশে। আশ্চর্য! মানবজাতি তো পদার্থ বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে বিংশ শতাব্দির মাঝামাঝিতে পেয়ে গেছেন এই তথ্য। অধ্যাপক রেড্ডি নিজেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন- 'Mass is energy. Hence the ultimate stuff of the universe is energy. At the subatomic level these subatomic particles are not made of energy, but they are themselves energy. Thus energy interacts with energy. The dancer and the dance are one and the same.' তাহলে 'বস্তুই শক্তি' এই তত্বের জন্য ইউ জি'র কৃতিত্ব কিসে?

ধর্ম সম্পর্কে ইউ জি

ধর্মের অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যাপক রেড্ডি জানান ইউ জি-র কথা- 'According to him, Hinduism is not a religion. It is a street with a hundred shops, each claiming its wares as the best. For example, Rajneesh's sex shop, J. Krishnamurti's awareness shop, Maharshi Mahesh Yogi's meditation gymnasium, and Satya Sai's magic and mesmerism. The durability of these products is questionable. The teachings of the great founders of religions and saviors of mankind have resulted only in violence which is perpetrated by their followers. Every teacher talks peace, but his teaching resulted in violence in the end.'

ধর্মের শিক্ষা থেকে সংঘাত আসে নি কখনো। সংঘাত এসেছে ধর্মব্যবসায়ীদের কূট কৌশলের কারণে এবং ধর্ম বিরোধীদের প্রতিক্রিয়াশীলতার কারণে। ধার্মিকদের আত্মরক্ষার প্রয়াসটাকে নানা প্রকার রঙ দিয়ে মিথ্যা আরোপ করবার ইতিহাসও আছে। ধর্মগুলোর আগমনের সাথে সাথে সমাজে থাকা পুরাতন ধর্মাবলম্বিদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। প্রকৃত ধার্মিক নিঃস্বার্থ এবং শান্তিকামী। এক কথোপকথনে ইউ জি-ও স্বীকার করেন প্রকৃত ধার্মিক নিঃস্বার্থ।

চিন্তা সম্পকে ইউ জি'র কথা বহু ধরণের

ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি চিন্তাকে কখনো শত্রু মনে করেন আবার চিন্তাকেই বোঝেন প্রতিরক্ষার প্রকৌশল হিসাবে। চিন্তার দ্বারা মানুষের উন্নতি হয়েছে প্রচুর তাও জানান। অনুভূতিকে চিন্তা বলেন। উপায় খোঁজাটাও চিন্তা তাঁর মতে। চিন্তার দ্বারা মানুষ প্রকৃতির সূত্রগুলো আবিস্কার করতে পেরেছে, তাও বোঝেন। আবার তিনি বস্তুকে যখন বলেন, ওটাও চিন্তা, তখন হাইয়ার ফিজিক্সের তথ্য 'ইউনিভার্স ইজ মেন্টাল' বা 'থট ওয়ার্ল্ড'র পাশাপাশি চলে যায়। এক পর্যায়ে ইউ জি বলেন, 'চিন্তা বলে আদৌ কিছু নেই'। তার মানে কি চিন্তা দ্বারা তিনি যা কিছু ধরেছেন ওসবও কিছু না?

অধ্যাপক রেড্ডি ইউ জি-কে ব্যাখ্যা করে দেখান, চিন্তা কিভাবে বের হয়। চিন্তা জন্মে বাইরের দৃশ্যাবলির উপস্থিতির কারণে। কিন্তু ইউ জি যখন বলেন, 'চিন্তা বলে আদৌ কিছু নেই', তখন প্রশ্ন জাগে, আসলেই তিনি 'চিন্তা' সম্পর্কে কী বলতে চান?

দিস ডগ বার্কিং

কথোপকথনে (This Is a Dog Barking 1, http://www.youtube.com/watch?v=tHvQiDIjzvQ ) বললেন, শরীরের জন্য কোনো কিছু ভালো নির্ধারণ করা মাত্রই তুমি সমস্যা সৃষ্টি করলে। ব্যর্থতা-হতাশা বলে কিছু নেই। (দেয়ার ইজ নো ফ্রাস্টেশশন) ওই ধারণাটা তোমার উপর আরোপিত। শরীরের সাথে হতাশার কোনো সম্পর্ক নেই। শরীর শুধু চায় বাঁচতে এবং সঙ্গম করতে। (দিস বডি অনলি ইন্টারেস্টেড ইন ঈটিং এ্যান্ড ফাকিং, বলেছেন, দিস ডগ বার্কিং-২-তে এমন কি চলাফেরায় অক্ষম, কঙ্কালসার দেহখানি নিয়ে বিছানায় শোয়া অবস্থায় 'পার্টিং মেসেজ' দেয়ার সময়ও বলেছেন এই কথা।) পিউর এ্যাগজিসটেন্স বলে কিছু নেই। আমি একটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করছি। ঘেউ ঘেউ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ পাচ্ছে তোমার সামনে।' বার্কিং-২-তে আরো বলেছেন, নোবেল প্রাইজ নিচ্ছে যে ওই ব্যাটারা, তারা শুধু ভাইব্রেশন তর্জমা করছে আর নোবেল পেয়ে যাচ্ছে, তারা নিজেরাই জানে না ওরা কি বলছে।

অন্যের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে হয় কেন?

ইউ জি কৃষ্ণমূর্তির অধিকাংশ কথোপকথন প্রচার করেছেন মহেশ ভাট। কিছু তর্ক মহেশ ভাটের বেশ উপভোগ্য। আবার কিছু তর্কের ধরণে বোঝা যায় মহেশ ভাট বরাবর জবাব দিতে পারেন নি। এই না-পারা হতে পারে প্রশ্ন খুঁজে না-পাওয়া, অথবা ইউ জি'র প্রতি ভক্তির কারণে থেমে যাওয়া।

যেমন, মানুষকে সাহায্য করবার প্রসঙ্গে কথা উঠলে, ইউ জি'র সাফ কথা তিনি কাউকে সাহায্য করতে চান না। শেষ পর্যায়ে মহেশ ভাটকে প্রশ্ন করেন, 'তুমি অন্যের ব্যাপারে মাথা ঘামাও কেন? (হোয়াই আর ইউ কনসার্ন এবাউট আদার?) এই প্রশ্নে আটকে যান মহেশ ভাট।

মানুষকে অন্যের ব্যাপারে মাথা ঘামাতে হয়। কারণ, অন্যের দ্বারা সংঘটিত ঘটনাবলি বিচ্ছিন্ন নয়, সকলের সাথে কোনো না কোনো ভাবে সংশ্লিষ্ট। ইউ জি-ও বলেন 'ইউনিটি অব বীঙ' এর কথা। শত শত বছর ধরে সূফি-সাধকগণও বলেছেন এই ঐক্যের কথা। ইবনে আরাবী'র 'ওয়াহদাতুল ওজুদ'ও তা-ই। তাই ব্যক্তিকে নিজের প্রয়োজনেই অন্যের অসুবিধা দূর করবার প্রয়াস নিতে হয়। অসুস্থ বিকলাঙ্গ অক্ষম অন্যকে সবল সুস্থ ব্যক্তিটি সাধ্যমত সহযোগিতা দেবে, এটা কি বিবেকের দাবী নয়? পৃথিবীতে জন্মান্ধ মানুষও আসে। তাদেরকে কী পথের দিশা দিতে হয় না?

দেয়ানেয়া প্রসঙ্গের ভেতরেই অপেক্ষাকৃত ভালো আর মন্দ

ইউ জি'র মতে কোনো কিছু 'ভালো' নির্ধারণ করলেই সমস্যা দেখা দেয়। অথট তিনি নিজেই তাঁর মর্জিমাফিক ভালত্ববোধ ধরে রেখেছেন আমৃত্যু। তাঁর সেই 'ভালো'টা হলো, সকল প্রতিষ্ঠিত মতাদর্শ/বিজ্ঞান/দর্শন/নৈতিকতা প্রত্যাখ্যান করা। আবার তাঁর কথার মধ্যেই ধর্মীয় ভাব, দর্শন, বিজ্ঞানের দলিল কিঞ্চিত হলেও উপস্থিত। নিজের জীবনের প্রয়োজনে ইউ জিকে সামাজিক দেয়ানেয়া করতে হয়েছে। দেয়ানেয়া প্রসঙ্গের ভেতরেই অপেক্ষাকৃত ভালো আর মন্দ বিরাজমান। এই ভালো মন্দ চর্চার দ্বারা জীবন একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত অর্থবহ নয় কী?

যদি ইউ জি দেখাতে পারতেন, অপেক্ষাকৃত ভালো আর মন্দ নির্ধারণ করা ছাড়া জীবন যাপন সম্ভব, তাহলে মানবজাতি তাঁর কথা মেনে নিতে সহজ হতো। তাঁর নিজস্ব চিন্তা মোতাবেক মানবজাতির ইতিহাসে হোলি ম্যান আনহোলি মাইন্ড শব্দাবলি ব্যবহার করেছেন। তার মানে, তিনিও ভালো আর মন্দ নির্ধারণ করেছেন।

ঘরোয়া বৈঠকি কথোপকথনের সময় বিতর্ককারিদেরকে প্রায়ই ধমক দিয়ে যেনো জোরপূর্বক থামিয়ে দিতে চান। বলেন, 'ইউ অল বাস্টার্ড শিটিং, জাস্ট লিসেন টু মি'। তাঁর পরিস্কার আপত্তি গৌতম বুদ্ধ কোনো অরিজিনাল মানুষ ছিলেন না।

পারভিন ববি'র মতে ইউ জি

এশিয়ার মেরিলিন মনরো বিবেচিত, এক সময়ের জনপ্রিয় বলিউড চিত্র নায়িকা পারভিন ববি'র রচনাতে, 'পারভিন ববি অন ইউ জি'-তে, ইউ জি কৃষ্ণমূর্তি নিজের বিবেচনা মোতাবেক নীতি নৈতিকতা ধরে রাখতেন। ববি জানান, ইউ জি 'রিয়েল মোরালিটি'র পক্ষে থাকতেন। সমাজের সুবিধাবাদীদের নির্মিত 'মোরালিটি'র সমালোচনা করতেন্। যারা তাঁর কাছে পরামর্শ চাইতো, তাদেরকে পরামর্শ দিতেন ব্যক্তিটির জন্য যা ভালো মনে করতেন তা। কখনো স্ত্রীকে দেয়া পরামর্শ স্বামীর বিরুদ্ধে গেলেও কেয়ার করতেন না এবং স্বামীকে প্রয়োজন মনে করলে স্ত্রীর স্বার্থের বিরুদ্ধে উপদেশ দিতেন। কারণ ইউ জি মনে করতেন, প্রতিটি মানুষের সমসা ভিন্ন, সমাধানও ভিন্ন। এখানে একটি প্রশ্ন জাগে, ইউ জি বুঝতে পেরেছেন, 'হিউম্যান নেচার এ্যাগজেক্টলি দি সেইম', তাই ভিন্নতা সত্বেও প্রাকৃতিক ঐক্যের ভিত্তিতে সকলের জন্য প্রযোজ্য নৈতিকতার বিরোধিতা করলেন কেন?

পারভিন ববি'র মূল্যায়নে অতিভক্তির প্রকাশ আছে। যেমন ববি মনে করতেন, ইউ জি 'পারফেক্ট হিউম্যান বিঙ'। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, ৪৯ বছর বয়সে ইউ জি কৃষ্ণমূর্তির ভেতর 'এ্যাক্সট্রাঅডিনারি এ্যানার্জি' এসেছে এবং ওই এ্যানার্জি ইউ জিকে 'পারফেক্ট মানুষ' বানিয়েছে।

''As far as this energy of enlightenment is concerned UG states that there is NOTHING in the universe that this energy cannot do, that this energy can perform any miracle. UG states that this energy is supposed to be all knowing, all seeing, omni-present, omni-potent and supremely intelligent. The man who possesses this energy has no will left to use this energy for any purpose. If anybody is to benefit from this energy that individual has to draw it out of the person who possesses it, by having faith in it, or by being deserving.''

দেখা যাচ্ছে নিজের বিশেষত্ব, কথিত (তথাকথিত বললাম না) 'শক্তি'র ধারক হওয়ার ব্যাপারটা সুচতুরভাবেই ইউ জি প্রচার করেছেন ভক্তদের মাঝে। বিশেষ শক্তি ইউ জি-কে ক্লিনিক্যালি ডেড অবস্থা থেকে বানিয়েছে 'অফশুট মিউট্যান্ট' (offshoot mutant)। ওই 'বিশেষ শক্তি' ইউ জিকে স্বাভাবিক দেহের এ্যানার্জির ক্ষয় হওয়া (ইমমিউন সিস্টেম দূর্বল হতে থাকা) থেকে 'রক্ষা' করে নি। বার্ধক্যপীড়িত হয়েছেন, জীবনের স্বাভাবিকতা মোতাবেক 'নিভে' গেছেন। (অসমাপ্ত) 

তথ্য জরিয়া

http://www.youtube.com/watch?NR=1&feature=endscreen&v=iXyLbU1GGqU

http://www.well.com/user/jct/intro.html

http://hinessight.blogs.com/church_of_the_churchless/2009/02/ug-krishnamurti-intriguing-irritating-inspirational.html

http://www.ugkrishnamurti.net/

http://www.ugkrishnamurti.org/ug/ug_video/index.html

http://ug-k.blogspot.com/

http://www.takuin.com/the-death-of-ug-krishnamurti/

http://tkpi.org/content/teachings-ug-krishnamurti

http://www.inner-quest.org/UG.htm

http://the-natural-state.blogspot.com/

http://ugkrishnamurti.net/ugkrishnamurti-net/SWAN_SONG.htm

http://www.well.com/user/jct/enemy7.htm

http://www.travelswithug.com/

http://sulochanosho.wordpress.com/category/spirituality/

No comments: