Pages

Tuesday, September 18, 2007

সামহোয়ারইন ব্লগে রাজাকার বিরোধী আন্দোলন এবং ব্রাত্য রাইসু'র রাজাকার সন্তানের পক্ষাবলম্বনের প্রাসঙ্গিকতা


অবশেষে ব্রাত্য রাইসুও রাজাকার সন্তানদের পক্ষে কথা বলেছেন। তাই অনেকে তাকে তিরস্কার করছেন।কেন? তিনি সুবিচারের কথা বলেছেন এই অপরাধে। ঘৃণার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এই অপরাধে।দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বমানবতার সাথে এক হওয়ার কথা বলেছেন এই অপরাধে।

আসল কথাটা হলো, যার দৃষ্টিক্ষমতা যদ্দুর তিনি তদ্দুরই দেখবেন। আর অন্যের আমার চেয়ে দেখার ক্ষমতা বেশি থাকতে পারে তা স্বীকার না-করা এক ধরণের কূপমন্ডুকতা।

উল্লেখ্য, সেই পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে। আন্তর্জাতিক অনেক বিষয়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও পাকিস্তানের সাথে কন্ঠ মিলাতে হয়। তাছাড়া ঢাকা চেম্বার, দিল্লি চেম্বার ইসলামবাদ চেম্বার সদস্যরা গলায় গলায় ভাব করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর রাজনীতিকরাও ইন্টারলিংকও রাখেন পরস্পরের প্রতি। আর মিডিয়ায় তাদের ভাষায় কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছে না। এখানে সততা কোথায়? নাকি এইসব শুধু পাবলিককে চুতিয়া বানাবার জন্য? এইসব বিরোধিতার মধ্যে কি রাজনীতির ব্যবসা ফুটে উঠে না?

ব্রাত্য রাইসুদেরকে তথাকথিত হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতির পক্ষ বিপক্ষের রাজনীতির মাপকাঠিতে বিচার করা ঠিক না। তারা রাজনৈতিক দলের সাথে অঙ্গিকারাবদ্ধ না।আর কোন মানুষ সব বিষয়ে কারো বিপক্ষে যেতে পারে না। একটি বিষয়ে যিনি বিপক্ষে অন্য অনেক বিষয়ে তিনি আপনার পক্ষের হতে পারেন। মানুষ তো অনেকানেক বিষয়ের সাথে জীবন যাপন করে।

এই ব্লগটাই কি দেশের সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে? নিশ্চয়ই না। অতএব কারো কোন বিষয়ে বিপক্ষাবলম্বনের ব্যাপারটি সংযত মাত্রাজ্ঞানের আলোকে বিচার করাই কি উচিত না?আরেকটি ব্যাপার, আমরা বাঙালি, আমরা বাংলাদেশী। আমাদের একটা কমন সংস্কৃতি আছে। আবার ধর্মীয় সংস্কারের আলোকে আমাদের সংস্কৃতিতে পার্থক্য আছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি কারো দেশজ সংস্কৃতির সাথে একাত্মতাকে ধর্মবিরোধী বলে সেটা অবিচার। আবার কেউ তার ধর্মীয় সংস্কৃতির গুণকীর্তন করাটাকে বাঁকা চোখে দেখে সেটাও অবিচার।

বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মপ্রাণ। এখানে যে-কোন বিতর্কিত ইস্যুর ধর্মীয় ফায়সালা পাবলিক চায়। নইলে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা কথা বলেন, তাদেরকে যে-বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে, তা হলো, কেন যুদ্ধাপরাধীদের আজো বিচার হয় না। কারা এর পেছনে?
বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় চিরস্থায়ী শত্রুমিত্রের ধারণাকে সম্মান করা হয় না। ভিয়েতনামের কাছে সম্মুখযুদ্ধে পরাজিত আমেরিকা এখন চুটিয়ে ব্যবসা করছে ওই দেশটির সাথে। কেউ বলতে পারেন এতে বন্ধুত্ব নেই। ব্যবসা করছে দু'পক্ষ আর দু'পক্ষই লাভের হিসাব গুনছে। ওখানে যদি বন্ধুত্ব নাই থাকে থাক্, পরস্পরের প্রয়োজন তো পূরণ হচ্ছে।


আমরা চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক অবিলম্বে এবং যাকে তাকে রাজাকার বলাও বন্ধ হোক।

No comments: