Pages

Thursday, December 20, 2007

শালার পোড়া কপাইল্যা রাজনীতি!!

রাজনীতি রাজনীতি রাজনীতি! শালার পোড়া কপাইল্যা রাজনীতি। কালো রাজনীতি কহে, তুমি সোনার খনি হইলেও আমি বলিব তুমি কয়লার খনি। তুমি অশ্বডিম্ব। তুমি কিছু না। তোমার অস্তিত্ব আমি স্বীকার করিব না। আমার দলে আসিলে তুমি যদি তাম্র হও, আমি বলিব, তুমি মহামুল্যবান হিরা-ডায়মন্ড মনিমুক্তা প্লাটিনাম, তুমি অসাধারণ, তুমি মহা মহা কিছু।ক্ষমতা আর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যাহা যাহা করিবার প্রয়োজন তাহাই করা হইতেছে যুগ যুগ ধরিয়া। ধর্ম অধর্ম নীতি নৈতিকতা আদর্শ হাওয়া হইয়া যায় চোখের পলকে। শত্রু মিত্র হইয়া যায়, মিত্র শত্রু হইয়া যায়। উল্টি পল্টি উষ্ঠা বিষ্ঠা খাইয়া কহে আমি যাহা করিয়াছি ঠিক করিয়াছি।উপমহাদেশে ইসলামের পতাকাবাহী কংগ্রেসী মোল্লাতন্ত্র ছিলো। বিজেপি'র ছাতার নিচেও মোল্লারা আছেন। আবার ইসলামী রাজনীতিঅলাদের ছায়াতলেও আছেন ঠাকুরপুত্রগণ। ক্ষমতার পাওয়া যাইবে না দেখিয়া মুফতী সাহেব তার মান্যবর শায়খুল হাদীসের বিরোধিতায় আদাজল খেয়ে লাগলেন। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা মৌলবাদীদের সাথে হাত মিলাইলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা স্বাধীনতাবিরোধিদের সাথে গলা মিলাইয়া ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিস্কার করিলেন। নিজের দুই চর্ম চক্ষে দেখিয়াছি, ধানের শিষঅলাদের তাড়া খাইয়া নৌকাঅলাদের হাই কমান্ডের কয়েকজন নিজেদের মঞ্চ ত্যাগ করিয়া পাশবর্তী দাড়িপাল্লাঅলাদের মঞ্চের কাছে গিয়া আশ্রয় চাহিয়া জান বাঁচাইয়া ছিলেন। দাড়িপাল্লাঅলারা ধানেররশিষঅলাদের পিছু ধাওয়া করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছিলো। সময়ের পরিক্রমায় আবার এমন সময় আসিল তাহারা ত্রয়ী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হইয়া আন্দোলন করিলেন।স্বৈরাচারের পতনের একদিন আগে দেখিয়াছিলাম টেলিভীশনে, স্বৈরাচারকে রক্ষার জন্য সাদা দাড়ি পাগড়িঅলা বুযুর্গেরা দোয়া করিতেছেন। সকলেই জানেন, স্বৈরাচার লেডি কিলার টাইপ লোক। এক সাক্ষাতকারে বলিয়াছিলেন, 'আমার তো এ্যাথলেটিক্সের ফিগার, মেয়েরা পছন্দ করে, আমি কি করবো।' তিনি মহাখালির নিউ ডিওএইচএস এর যে বাসায় গভীর রাতে 'প্লেজার ট্রিপ' মারিতে যাইতেন, এর পাশবর্তী আমার এক আত্মীয়ের বাসায় কয়েকদিন ছিলাম। প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট হইতে কিছু কাহিনীও শুনিয়াছি। যাক, তিনিই আমাদেরকে দীর্ঘকাল শাসন করিয়াছেন। তিনি দেখাইতেছিলেন, সবার উপরে ডান্ডা সত্য তাহার উপরে নাই। কিন্তু পাবলিক পরে দেখাইয়াছে, ডান্ডাবাজীকেও ধরাশায়ী করা সম্ভব।এখন দেখিতেছি, যাহারা আপ্রাণ চেষ্টা করিয়া বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করিয়াছিলো, তাহারা বলিতেছে, তাহারা ওইসব কিছু করে নাই! বলিতেছে, দেশে মুক্তিযুদ্ধই হয় নাই! দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই!কাহাকে কি বলিব! ঠেলার নাম বাবাজী! দৌড়ের মধ্যে সবাই। ধরো মারো খাও ভাগো। বাই হুক অর বাই ক্রোক দে ওয়ান্ট টু এ্যাচিভ দেয়ার টার্গেট। গোস্বায়-রাগে আমি জ্বলিয়া উঠিয়াছিলাম যখন দেখিয়াছিলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিলকে ইসলামের কথা বলায় রাজাকার আখ্যা দেয়া হইয়াছিলো! এখনো সেই রকম হইতেছে।
এই ভার্চুয়াল জগতেও তাহাই হইতেছে। আমাকে যাহারা তাহাদের প্রতিপক্ষ ভাবিতেছেন, তাহাদের একজন আমার ব্লগে বলিয়াছিলেন, আপনার লেখাটি ভালো হইয়াছে। আমি যাহা বলিব তাহা মানিলে ইহাকে টপ রেটেড করার ব্যবস্থা করিব। আমি তাহার কথা শুনিয়া হাসিয়াছিলাম। আমি মিথ্যাচারের রাজনীতির সাথে নিজকে জড়িত করিতে পারিতেছি না বলিয়া আমার উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া হইয়াছে। যাহারা সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে জিরো ডিগ্রিতে অবস্থান করিতেছে। তাহারা আমাকে গালাগালিও করে। তাহাদের গালাগালিতে আমার কি হইবে? কিছুই হইবে না।
আমি বরাবরের মতো রাজনীতি নিরপেক্ষ থাকিয়া যাহার কাছে এক বিন্দু সত্য ও সৌন্দর্য দেখি, তাহাকে গিয়া বাহবা দেই, নিজেও আমোদিত হই। কিন্তু মতান্ধেরা ইহা সহিতে পারে না। আমি কখনোই তীব্র পক্ষপাতদুষ্ট হইয়া অপর পক্ষের কোন সততা ও সৌন্দর্য্যকে অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করি না। যাহারা এমন করিয়া আনন্দ পাইতে চায়, তাহাদের অন্তঃসারশুণ্যতা দেখিয়া আমার হাসি পায়!!!

No comments: